Advertisement
E-Paper

ফেড কাপ ফাইনালের মহড়ায় জিতে স্বস্তি সবুজ-মেরুনে

ম্যাচের অন্তিম লগ্নে রবীন্দ্র সরোবরে ধেয়ে এল কালবৈশাখী। মাঠের ভিতর তার আগেই যে সবুজ-মেরুন ঝড় বইল তাতে ৩-১ চূর্ণ হয়ে গেল বেঙ্গালুরু এফসি

দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৭ ০৪:৪৪
উল্লাস: গোলের পরে মোহনবাগানের রেনিয়ার, কেন লুইস ও জেজের উচ্ছ্বাস। বুধবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

উল্লাস: গোলের পরে মোহনবাগানের রেনিয়ার, কেন লুইস ও জেজের উচ্ছ্বাস। বুধবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

ম্যাচের অন্তিম লগ্নে রবীন্দ্র সরোবরে ধেয়ে এল কালবৈশাখী। মাঠের ভিতর তার আগেই যে সবুজ-মেরুন ঝড় বইল তাতে ৩-১ চূর্ণ হয়ে গেল বেঙ্গালুরু এফসি। যা দেখে ভিআইপি গ্যালারিতে আনাসের সঙ্গে ড্যারেল ডাফির রসিকতা, ‘‘কটকেও এ রকম একটা ঝড় তুলতে হবে।’’

ম্যাচের আগেই বেঙ্গালুরু শিবির জেনে গিয়েছিল, মলদ্বীপের মেজিয়ার কাছে হেরে গিয়েছে বাংলাদেশের আবাহনী। বেঙ্গালুরু কোচ আলবের্তো রোকা বুঝে যান, এএফসি কাপে গ্রুপের বাধা পেরোতে মোহনবাগান ম্যাচ গুরুত্বহীন। ৩১ মে ঘরের মাঠে মেজিয়াকে হারালেই চলবে।

বেঙ্গালুরু টিমে এ দিন ছিল না কোনও বিদেশি। ফেডারেশন কাপের দল থেকে কেবল সি কে বিনীত এবং সালাম রঞ্জন সিংহ। বাকি ন’জনের মধ্যে পাঁচ জনই এই মরসুমে প্রথম বার ম্যাচ খেললেন। মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেনও প্রথম দলের এদুয়ার্দো ফেরিরার সঙ্গে রেখেছিলেন বলবন্ত সিংহকে।

ম্যাচ শেষে সবুজ-মেরুন সমর্থকরা যখন সনিকে ফেড কাপ ফাইনালের জন্য সোনার আংটি দিচ্ছেন, তখন স্টেডিয়ামে রোকা বলে গেলেন আসল কথাটা। ‘‘ফেড কাপ ফাইনালের জন্য সবাইকে নিয়ে আসিনি। নতুনদের সুযোগ দিয়েছিলাম আজ।’’ আর সঞ্জয় বলছেন, ‘‘এই জয় তৃপ্তি দিচ্ছে।’’

আরও পড়ুন: ফেডারেশন কাপের ট্রায়াল রান সেরে ফেলল মোহনবাগান

গ্যালারিতে মেরে কেটে শ’দু’য়েক দর্শক। সনি নর্দে, ড্যারেল ডাফি-সহ আটজন ভিআইপি গ্যালারিতে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বুধবার যে উজ্জ্বীবিত ফুটবল খেললেন রেনিয়ার, কিন লুইসরা তা চোখ টানল।

শুরুতেই বেঙ্গালুরু বক্সের ছ’জন ফুটবলারের মাথার উপর দিয়ে রেনিয়ার ছোট্ট চিপ ধরে গোল করে যান জেজে। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে এ দিন হ্যাটট্রিক হয়ে যায় তাঁর। ম্যাচ শেষে হাসতে হাসতে বলে গেলেন, ‘‘বাকি গোলগুলো ফেড কাপ ফাইনালের জন্য রেখে দিলাম।’’

শুরুতেই গোল পাওয়ায় বলবন্তের জায়গায় আজহারউদ্দিন মল্লিককে নামিয়ে দেন সঞ্জয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কিছুটা আত্মতুষ্ট হয়ে পড়ায় এদুয়ার্দোকে গতিতে পরাস্ত করে দূরপাল্লার শটে দর্শনীয় গোল করে বেঙ্গালুরুকে সমতায় ফেরান সেমিডংগেল লেন।

এই গোলের পরেই এদুয়ার্দোর জায়গায় কাতসুমি ইউসা-র আগমন। তিনি নামতেই ফের ঝলমলে মোহনবাগান। এর পরেই পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে কিন লুইস এবং বিক্রমজিৎ সিংহ সিনিয়রের গোল। দূরপাল্লার শটে বিক্রমজিতের গোলটাও দেখার মতো। বাড়ি যাওয়ার আগে খোশমেজাজে থাকা সনি নর্দে তাই বলে গেলেন, ‘‘জেতার অভ্যাসটা ধরে রাখায় আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’’

গুরুত্বহীন ম্যাচ জিতে এটাই প্রাপ্তি মোহনবাগানের।

মোহনবাগান: শিল্টন পাল, রাজু গায়কোয়াড়, বিক্রমজিৎ সিংহ (জুনিয়র), এদুয়ার্দো ফেরিরা (কাতসুমি ইউসা), সঞ্জয় বালমুচু, প্রবীর দাস, বিক্রমজিৎ সিংহ, রেনিয়ার ফার্নান্দেজ, কিন লুইস (রবিনসন সিংহ), বলবন্ত সিংহ (আজহারউদ্দিন মল্লিক) ও জেজে লালপেখলুয়া

Mohun Bagan Fed Cup Bengaluru FC AFC cup Football
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy