Advertisement
E-Paper

ভারত থেকে ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করবে বাংলাদেশ! পাঁচ বিকল্পের মধ্যে থেকে দিল্লিকেই বেছে নিল ইউনূসের কৃষি মন্ত্রক

বাংলাদেশের খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ কোথাও কোথাও ১৫০ টাকা দিয়েও কিনতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা ভেবেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিল ঢাকা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৫৯
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম যে হারে বাড়ছিল, তাতে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে পদক্ষেপ করতেই হত। দেশের একাধিক আমদানিকারী সংস্থা সরকারের কাছে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে রেখেছিল। অবশেষে ইউনূস তাতে রাজি হলেন। ৫০ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হল। তাঁরা সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজ ভারত থেকে কিনতে পারবেন। এ ভাবে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ কোথাও কোথাও ১৫০ টাকা দিয়েও কিনতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা ভেবেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিল ঢাকা। তবে তাদের সামনে আরও পাঁচটি বিকল্প ছিল। বাংলাদেশ বাণিজ্য ও শুল্ক কমিশন (বিটিটিসি) বছরখানেক আগে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ভারতের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর পরামর্শ দিয়েছিল সরকারকে। তখনই পাঁচ বিকল্প দেশের কথা বলা হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিল মায়ানমার, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিশর এবং চিন। ভারত ছাড়া মায়ানমার থেকেও বাংলাদেশ পেঁয়াজ কেনে। চিন, তুরস্ক থেকেও কিছু কিছু পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কিন্তু তা পরিমাণে অনেক কম। এ ছাড়া, বাংলাদেশেও পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়। দেশের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্র উল্লেখ করে প্রথম আলো জানিয়েছে, আগের চেয়ে তাদের পেঁয়াজ উৎপাদন বেশ খানিকটা বেড়েছে।

দেশের বাজারে পেঁয়াজের সঙ্কট প্রাথমিক ভাবে সামাল দেওয়া গেলেই ভারত থেকে আমদানি ফের বন্ধ করে দেবে ঢাকা। ভারত থেকে যে পরিমাণ পেঁয়াজ বিদেশে রফতানি করা হয়, তার প্রায় এক তৃতীয়াংশ যায় বাংলাদেশে। তবে তারা আমদানিতে রাশ টানায় ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি আগের চেয়ে কমেছে। গত ৩০ অগস্ট শেষ বার ভারত থেকে পেঁয়াজের গাড়ি বাংলাদেশে গিয়েছিল। তার পর রবিবার ফের ৩০ টন পেঁয়াজের একটা গা়ড়ি সীমান্ত পেরিয়েছে। পেঁয়াজ আমদানির ছাড়পত্র মেলার পর বাংলাদেশের খুচরো বাজারে এই পণ্যের দাম সামান্য কমেছে। তবে মাত্র ৫০ জনকে ৩০ টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ায় খুশি নন বাংলাদেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। পরিমাণ আরও কিছুটা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন ছিল বলে তাঁরা মনে করছেন। সূত্রের খবর, পেঁয়াজ আমদানির জন্য ইউনূসের কৃষি মন্ত্রকের কাছে গত অগস্ট থেকে সাড়ে তিন হাজার আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে থেকে বাছাই করে ৫০ জনকে আপাতত অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

Bangladesh Onion Truck India Bangladesh Ties Muhammad Yunus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy