মোহনবাগান ২ (সনি, ডাফি)
কলম্বো ১ (সেকা)
মোট রান: ৪-২
অ্যাওয়ে ম্যাচে কলম্বোকে হারিয়ে ঘরের মাঠেও বাজিমাত মোহনবাগানের। এএফসি কাপের ফিরতি ম্যাচ ২-১ গোলে জিতে নিল সঞ্জয় সেন অ্যান্ড ব্রিগেড। ম্যাচ শুরুর ২৮ মিনিটেই গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছিল সনি নর্ডি। চোট সারিয়ে এদিনই নামলেন মাঠে। অ্যাওয়ে ম্যাচ তাঁকে ছাড়াই জিতে এসেছিল মোহনবাগান। মঙ্গলবার যে তাঁকে প্রথম দলে রাখা হবে সেই ইঙ্গিত অবশ্য দেননি কোচ সঞ্জয় সেন। ১৮ জনে থাকবেন জানাই ছিল। প্রতিপক্ষের কোচও বলে দিয়েছিলেন সনি খেললে তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু সেই ম্যান মার্কিং কাজে লাগেনি। ডানদিক থেকে ডাফিকে লক্ষ্য করে বল বাড়িয়েছিলেন কাটসুমি। তার পর কয়েক সেকেন্ডের বল হোল্ড আর সনিকে পাস বাড়ানো। তখন পুরোপুরি অরক্ষিত ছিলেন সনি। ২২ গজ দুর থেকে সনির জোড়াল শট সোজা চলে যায় গোলে। গোলকিপার ইমরানের গায়ে লেগে বল চলে যায় গোলে। এগিয়ে যায় মোহনবাগান।
আরও খবর: ভারতে আসার ভিসা পেলেন না কলম্বো এফসির নাইজিরিয়ানরা
প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে। যেখানে প্রথমার্ধ শেষ করেছিল সেখান থেকেই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে মোহনবাগান। ৫৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ড্যারেল ডাফি। এ বারও সেই গোলের রাস্তা তৈরি করেছিলেন কাটসুমি। প্রতিপক্ষ কোচের যাঁকে মনে হয়েছিল সব থেকে কার্যকরী মোহনবাগানে। সেই কাটসুমিই সেন্টার সার্কেলের কাছ থেকে কোনাকুনি পাস রেখেছিলেন নর্ডিকে। সেই বলের উপর অসাধারণ নিয়ন্ত্রণ রেখে কাটসুমি ঢুকে পড়ে্ছিলেন বক্সের মধ্যে। সেখান থেকেই ডাফিকে ছোট্ট ক্রস বাড়ান তিনি। ডাফি হালকা টোকাই যথেষ্ট ছিল গোলের জন্য। ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্ত হয়ে যায় মোহনবাগান। সনিকে বসিয়ে ৬২ মিনিটেই নামিয়ে দেওয়া হয় বলবন্ত সিংহকে। তুলে নেওয়া হয় ডাফিকেও। নামেন রেনিয়ের ফার্নান্ডেজ। ৭৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ৩-০ করার সুযোগ নষ্ট করেন বলবন্ত সিংহ। ৮৮ মিনিটে ব্যবধান কমান ইয়াপো সেকা। দুই ম্যাচ মিলে ৪-২ গোলে জিতে নিল মোহনবাগান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy