Advertisement
E-Paper

দুই বিদেশিতে বাজিমাত সঞ্জয়ের

বিদেশের মাঠে গিয়েও এই মুহূর্তে নিজেদের অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখল মোহনবাগান। আই লিগের শুরু থেকে ভাল খেলতে থাকা সঞ্জয় সেনের বাগান এ বার শ্রীলঙ্কার মাঠে সফল। সবথেকে বড় কথা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ১-১ অবস্থা থেকেও হতোদ্যম না হয়ে জয় ছিনিয়ে আনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:০৯
শেহনাজ। তিন পয়েন্টের গোল।

শেহনাজ। তিন পয়েন্টের গোল।

মোহনবাগান-২ (লুইস, শেহনাজ) : কলম্বো এফসি-১ (আফেজ)

বিদেশের মাঠে গিয়েও এই মুহূর্তে নিজেদের অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখল মোহনবাগান।

আই লিগের শুরু থেকে ভাল খেলতে থাকা সঞ্জয় সেনের বাগান এ বার শ্রীলঙ্কার মাঠে সফল। সবথেকে বড় কথা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ১-১ অবস্থা থেকেও হতোদ্যম না হয়ে জয় ছিনিয়ে আনা। কয়েক দিনের ব্যবধানে আই লিগের ফোকাস থেকে সরে এসে এএফসি-র মতো টুর্নামেন্টে জয় পাওয়াটা দেশে ফিরে আই লিগের পরের অংশে ডাফি-আনাসদের বাড়তি মনোবল জোগাতেই পারে। সনি নর্ডি-সহ পাঁচ ফুটবলার দ্বীপরাষ্ট্রে যাননি বাগানের সঙ্গে। মাত্র দু’জন বিদেশি। তা সত্ত্বেও পালতোলা নৌকোকে ফুটো করতে পারেনি হলুদ ডুবোজাহাজ। বাগান কোচ সঞ্জয় ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে এসে শিল্টন-কাতসুমিদের বলে দেন, ‘‘নতুন টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ। অচেনা প্রতিপক্ষ। এ অবস্থায় এ রকম একটা জয় টিমের জন্য দরকার ছিল।’’

বাগানের জয়ের পিছনে সেই টিমগেম এ দিনও ছিল প্রধান অস্ত্র। সেই সঙ্গে খেলায় যেটা দেখা গেল, প্রথম একাদশে সুযোগ না পাওয়া ফুটবলারদের বাড়তি তাগিদ। আই লিগে যে টিম খেলছে সেই টিমে প্রথম একাদশের পাঁচ জন ফুটবলার বদল করেছিলেন সঞ্জয়। গোলে দেবজিৎ মজুমদারের জায়গায় শিল্টন পাল ছাড়াও লেফট ব্যাকে প্রথম বার শৌভিক ঘোষকে নামানো হয়েছিল। চোট সারিয়ে এ দিন ঢুকেছিলেন শেহনাজ সিংহ। তাঁর দূরপাল্লার গোলার মতো শট-ই অ্যাওয়ে ম্যাচে এনে দিল তিন পয়েন্ট। আই লিগে কেন লুইস, প্রবীর দাসও প্রথম টিমে সুযোগ পাচ্ছিলেন না নিয়মিত। তাঁদেরও সাহস করে এএফসি কাপে নামিয়ে দিয়েছিলেন বাগান কোচ। সেটা পুরোপুরি কাজে লেগেছে। সঞ্জয় অবশ্য বললেন, ‘‘আমাদের টিমের সবাই প্রথম একাদশে খেলতে পারে। কোনও রিজার্ভ বেঞ্চ নেই। সেটাই আজ প্রমাণিত।’’ কাতসুমি, ডাফিরা গোল নষ্ট না করলে মূলপর্বে ওঠার প্রথম কোয়ালিফাইং ম্যাচটা আরও বেশি গোলে জিততে পারত বাগান।

সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা কলম্বো থেকে ফোনে জানাচ্ছেন, প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্রতার জন্য কোচ মেপে-বুঝে খেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। টিমও নামানো হয়েছিল প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবলের ভাবনা নিয়ে। সামনে ডাফিকে রেখে পাঁচ মিডিও খেললেন। যদিও লুইসের ১-০ করার পর কলম্বোর ক্লাব সমতায় ফিরে এসেছিল কাউন্টার অ্যাটাক থেকেই।

বাগান কিপার শিল্টন ফোনে বললেন, ‘‘প্রচণ্ড গরম ছিল। তাতে কিছুটা তো সমস্যা হচ্ছিলই। কলম্বোর টিমটাও খারাপ নয়। বলটা হঠাৎ-ই গোলে ঢুকে গেল। তবে তাতে আমরা চাপে পড়িনি।’’ মিডিও শৌভিক চক্রবর্তীও বললেন, ‘‘কলম্বো টিমটা খারাপ নয়। ভালই লড়াই করেছে।’’

প্রথমার্ধের শুরুতেই লুইসের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। কলম্বো এফসি-র নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার আফেজ ওলোফিন অবশ্য সমতা ফেরাতে সময় নেয়নি। বিরতির পর শেহনাজের গোলে মোহনবাগান ২-১ করে। বাগানকে সমর্থন করতে কলকাতা থেকে কিছু সমর্থক গিয়েছেন কলম্বোয়। স্টেডিয়ামের হাজার তিনেক কলম্বো এফসি সমর্থকের সঙ্গে গ্যালারিতে বসেছিলেন সবুজ-মেরুন পতাকা নিয়ে। টানা চিৎকার করলেন প্রিয় টিমকে তাতাতে।

কলম্বো এফসি-র সঙ্গে ফিরতি ম্যাচ রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে। সেখানে খেলার অনুমতিও পেয়ে গিয়েছেন বাগান কর্তারা। তার আগে আই লিগে আইজল ম্যাচ রয়েছে। এএফসি থেকে আই লিগ। আবার জাতীয় থেকে এশীয় টুর্নামেন্টে ফেরা। গতবার দু’টো টুর্নামেন্টেই ভাল খেলতে খেলতে শেষ পর্যন্ত নানা সমস্যায় পড়ে আই লিগকে আঁকড়ে ধরেও হাতে ধরে রাখতে পারেনি বাগান। এ বার কী হয় দেখার!

মোহনবাগান: শিল্টন, প্রীতম, আনাস, বিক্রমজিৎ, শৌভিক ঘোষ (শুভাশিস), শৌভিক চক্রবর্তী, শেহনাজ, কেন লুইস (জেজে), কাতসুমি,, প্রবীর, ডাফি (বলবন্ত)।

Mohun Bagan Colombo FC AFC Cup
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy