কলম্বোয় অনুশীলনে মোহনবাগান দল। ছবি: নিজস্ব চিত্র।
কলম্বো ১ (আফিজ ওলোফিন)
মোহনবাগান ২ (কেন লুইস, শেহনাজ সিংহ)
এএফসি কাপ নয় এ বার আই লিগ নিয়েই ভাবছেন মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন। কিন্তু এতটাই আত্মবিশ্বাসী দল যে বিদেশের মাঠ থেকেও জিতেই শহরে ফিরছে মোহনবাগান। আবার ফিরে যাবে আই লিগে। তার আগে এএফসি কাপের ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে পৌঁছে গেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। শুরুটা করেছিল মোহনবাগানই। শেষও করল ভারতের দল। মাঝে একবার ম্যাচে ফিরেছিল হোম টিম। কিন্তু সমতা ধরে রাখতে ব্যর্থ নবাগত এই ফুটবল টিম।
ম্যাচ শুরুর ১৩ মিনিটের মধ্যেই গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন কেন লুইস। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই কর্নার পেয়ে গিয়েছিল মোহনবারা। ডাফির কর্নার প্রবীর দাস হয়ে কাটসুমি পেলেও কলম্বো রক্ষণ তা ক্লিয়ার করে দেয়। এক মিনিটের মধ্যেই প্রীতম, সৌভিকের বোঝাপড়ায় প্রায় গোলের মুখ খুলেই ফেলেছিল মোহনবাগান। অফ সাইডের আওতায় পরে সেটা আর হয়নি। ১৩ মিনিটেই গোলের মুখ খুলে ফেলে মোহনবাগান। প্রবীর দাসের ক্রস থেকে কেন লুইসের হেড সরাসরি চলে যায় গোলে। শুধু গোল নয় মিসের বহরও ছিল মোহনবাগান শিবিরে। ৩০ মিনিটেই কলম্বোকে সমতায় ফেরান আফিজ ওলোফিন। এই গোলের পিছনে মোহনবাগান রক্ষণেরও ভুল ছিল।
গোল হজম করে গোলের মুখ প্রায় খুলেই ফিলেছিল মোহনবাগান। দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাকে প্রীতম কোটালের লং বল কেন লুইস হয়ে বক্সের মধ্যে পেয়ে গিয়েছিলেন প্রবীর দাস। পুরোপুরি অরক্ষিত অবস্থায় ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর হেড চলে যায় বাইরে। ম্যাচের সব থেকে সহজ সুযোগ নষ্ট এটাই। প্রথমার্ধের শেষে আবারও গোলের সুযোগ চলে এসেছে বাগানের সামনে। সে বারও হল না। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলেই।
দ্বিতীয়ার্ধেও মিস, পাল্টা মিসের পালা ছিল সমান ভাবেই। দারুণ খেলে, একাধিকবার গোলের সামনে পৌঁছেও নিজের নামের পাশে গোল লিখে নিতে পারলেন না ইউসা কাটসুমি। মিস করেন আফিজও। ৭১ মিনিটে জয় সূচক গোলটি করে যাম শেহনাজ সিংহ। বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে দৌঁড় শুরু করেছিলেন সৌভিক ঘোষ। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর ক্রস জেজে হয়ে পেয়ে যান শেহনাজ। বক্সের কোনা দিয়ে শেহনাজের শট চলে যায় গোলে। এখানেই শেষ হয়ে যায় খেলা। এর পরও ছিল মিসের পালা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর কোনও দলই গোল করতে পারেনি।
আরও খবর: কলম্বোয় হোটেল পরিবর্তন করতে হল মোহনবাগানকে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy