নিষ্ফলা ডার্বির পর এ বার মিশন মুম্বই।
কুপারেজে মুম্বই এফসি-র বিরুদ্ধে সেই ফুটবল-যুদ্ধে বুধবার মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেনের স্ট্র্যাটেজি দু’টো।
এক, স্টিভন ডায়াসদের টিমের বিরুদ্ধে দুই অর্ধের প্রথম পনেরো মিনিটে ঝড় তুলে গোল করা।
দুই, শেষের দিকে সন্তোষ কাশ্যপের ফরোয়ার্ডদের পেনিট্রেটিভ জোনে ঘুরঘুর করতে না দেওয়া।
বাগান কোচ হিসেবে সঞ্জয় সেন আই লিগ, ফেড কাপ জিততে পারেন। কিন্তু গত দু’বছর মুম্বই থেকে তিন পয়েন্ট কিন্তু তুলে আনতে পারেননি সবুজ-মেরুন জার্সিধারীরা। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো হাঁটুর পুরনো চোট ফের মাথাচাড়া দেওয়ায় সনি নর্দে-কে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে সনি মঙ্গলবার হাল্কা অনুশীলন করেছেন। রাতে অর্থোপেডিক সার্জন অনন্ত জোশীর কাছে দেখাতে গিয়েছিলেন। বেশি রাতে বাগান কোচ বললেন, ‘‘ওর চোট তেমন গুরুতর নয়। খেলার মতো অবস্থায় রয়েছে। বুধবার একটার সময় এমআরআই হবে। তা দেখার পর সনিকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’’
এই পরিস্থিতিতে মুম্বই এফসি-র বিরুদ্ধে দুঃস্বপ্নের সেই কুপারেজ থেকে জয় তুলে আনতে পারবেন ডাফি-কাতসুমিরা? ফোনের ওপার থেকে সঞ্জয় সেন বলে ওঠেন, ‘‘আই লিগে সনি ছাড়াও কিন্তু টিম জিতেছে। প্রবীর, রেইনার, আজহার তো আছেই। বিকল্প হিসেবে বলবন্ত বা জেজেকেও বাঁদিকে ব্যবহার করতে পারি।’’ তা হলে কি বুধবার ডাফিকে একমাত্র স্ট্রাইকার রেখে অ্যাওয়ে ম্যাচের সেই ৪-৫-১ থিওরি? সঞ্জয় যার উত্তরে হ্যাঁ বা না—কিছুই বললেন না। লেফ্ট ব্যাক শুভাশিসও কলকাতায় ফিরেছেন। মঙ্গলবার স্টেডিয়ামে সকাল এগারোটা থেকে ঘণ্টাখানেকের অনুশীলনে যেরকম ইঙ্গিত পাওয়া গেল, তাতে রক্ষণে সৌভিক ঘোষের ফেরার সম্ভাবনাই উঁকি মারছে।
সরস্বতী পুজোর বিকেলে বারাসতে উইলস প্লাজার জোড়া গোলে মুম্বইকে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সন্তোষ কাশ্যপের সেই টিম দু’সপ্তাহে বদলে গিয়েছে অনেকটাই। ডিফেন্সে যোগ দিয়েছেন কলকাতার দুই প্রধানে খেলে যাওয়া মেহরাজউদ্দিন এবং প্রাক্তন আফগান অধিনায়ক জালালুদ্দিন শারিতিয়ার। দ্বিতীয় জন আবার খেলে এসেছেন সুইৎজারল্যান্ড, জার্মানির নীচের ডিভিশনে। আক্রমণে জুড়েছেন ব্রাজিলীয় মিডিও অ্যান্ডারসন।
যদিও তাতে দলের হাল বিশেষ ফেরেনি। আট ম্যাচের মধ্যে শেষ ছয় ম্যাচে টানা হারের ফলে তাঁদের পয়েন্ট ৬। লিগ টেবিলে তলানিতে পড়ে আছে। মোহনবাগান এক ম্যাচ কম খেলে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। সবুজ-মেরুন কোচ অবশ্য আত্মতুষ্ট হচ্ছেন না। তাঁর কথায়, ‘‘একেই ন’দিনে চারটি ম্যাচ খেলতে হয়েছে বলে ফুটবলাররা ক্লান্ত। তার ওপর কুপারেজের ছোট মাঠে বেশি ধাক্কাধাক্কির ফুটবল হবে।’’ সঙ্গে এটাও বলে দেন, ‘‘টানা ছয় ম্যাচ হারার পরে জেতার জন্য ঘরের মাঠে মরিয়া হবে মুম্বই। সেটাই চিন্তা।’’ যা শুনে মুম্বই কোচ বলে দিচ্ছেন, ‘‘ঘরের মাঠের সুবিধা নেব আমরা।’’
সব মিলিয়ে কুপারেজের বিভীষিকা এড়াতে সঞ্জয়ের মূলধন যখন অভিজ্ঞতা। সন্তোষের ব্যাঙ্ক ব্যালান্স তখন মাঠ। দু’য়ের যুদ্ধে কে হাসি মুখে মাঠ ছাড়বেন সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy