ডার্বির আগের দিন নিজেদের পছন্দের সময়ে প্র্যাকটিস করতে পারছে না মোহনবাগান। সবুজ-মেরুন কোচ সঞ্জয় সেন চেয়েছিলেন, শনিবার একেবারে সকালের দিকে আটটা-সাড়ে আটটা নাগাদ প্র্যাকটিস করতে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল নিজেরাই এই সময়ে প্র্যাকটিস করবে বলে মোহনবাগানকে প্র্যাকটিস করতে হচ্ছে বেলা এগারোটা থেকে।
আই লিগের প্রথম পর্বে ডার্বির আয়োজক ইস্টবেঙ্গল। স্বভাবতই নিজেদের হোম ম্যাচের সুবিধেগুলো পুরোপুরি নেবে লাল-হলুদ। সঞ্জয় সেন মনে মনে বিরক্ত হলেও প্রকাশ্যে অবশ্য বলেছেন, ‘‘ন্যাড়া মাঠ হোক, কাদা মাঠ হোক, যে কোনও প্রতিবন্ধকতার মধ্যেই আমরা খেলে দেব। জেতারও চেষ্টা করব।’’ বৃহস্পতিবার সকালে মোহনবাগান পুরোদমে ডার্বির প্রস্তুতি সারলেও ইস্টবেঙ্গলের ছুটি ছিল। টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তি কাটাতে লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান বিশ্রাম দিয়েছিলেন মেহতাব-ডিকাদের।
সঞ্জয় সেনের ডার্বি-ক্লাসে টিম মোহনবাগান। বৃহস্পতিবার।
সঞ্জয় আবার এ দিন গোলের মধ্যে থাকা ওয়েডসন-প্লাজাদের আটকানোর জন্য বাগান ডিফেন্ডার এবং সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারদের নিয়ে শর্ট স্প্রিন্টের বিশেষ অনুশীলন করান। এত দিন বাগানের ভিডিও অ্যানালিস্ট প্র্যাকটিস চলাকালীন সাধারণত মাঠে থাকতেন না। কিন্তু এ দিন দেখা যায়, তিনি মাঠে এসে এই বিশেষ প্র্যাকটিসের ছবি তুলে রাখছেন। আক্রমণভাগের প্লেয়ারদের নিয়ে আলাদা করে প্র্যাকটিস করান শঙ্করলাল চক্রবর্তী। আসলে এ বারের আই লিগের ডার্বি জিততে মুখিয়ে রয়েছেন সঞ্জয়। মোহনবাগানকে তেরো বছর বাদে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করেছেন তিনি। তাঁর কোচিংয়ে ফেডারেশন কাপও জিতেছে বাগান। কিন্তু সঞ্জয়ের ডার্বির রেকর্ড ভাল নয়। মোহনবাগানে কোচ হয়ে আসার পর থেকে পাঁচটি ডার্বির মধ্যে মাত্র একটিতে জিতেছেন তিনি। সেখানে ডার্বিতে মর্গ্যানের সাফল্যের পরিসংখ্যান বেশ ভাল।
ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।