পরীক্ষা: গঞ্জালেসকে রক্ষণে খেলাবেন কোচ কিবু। ফাইল চিত্র
ইম্ফলের খুমন লামপাক স্টেডিয়াম থেকে অনুশীলন করে বেরিয়ে কিবু ভিকুনা আশা এবং আশঙ্কার দুটো খবর পেলেন। রিয়াল কাশ্মীরের সঙ্গে আই লিগের ম্যাচে আইজল ২-২ ড্র করেছে। আশার খবর হল, কাশ্মীর হেরে যাওয়ায় খেতাবের লড়াই থেকে তারা কার্যত ছিটকেই গেল। অন্য দিকে আইজল কঠিন ম্যাচ ড্র করায় চাপ বাড়ল সবুজ-মেরুনের। কারণ এখনও জোসেবা বেইতিয়াদের সঙ্গে ঘরের মাঠে আইজলের সঙ্গে খেলা বাকি।
লিগ টেবলে যে হেরফেরই ঘটে যাক, কিবু অবশ্য তা নিয়ে কখনওই মাথা ঘামান না। চিন্তিত হলেও তা প্রকাশ্যে আনতে চান না। ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে আজ, রবিবার বিকেলে খেলতে নামার আগের দিনও নিজের দর্শনে অটল থেকেছেন স্পেনীয় কোচ। বলেছেন, ‘‘পরে কার সঙ্গে কোথায় খেলতে হবে, কবে চ্যাম্পিয়ন হবে, এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। লক্ষ্যের দিকে আরও এগোতে গেলে ট্রাউ ম্যাচটা
জিততে হবে।’’ কলকাতা থেকে এ দিন সকালে ইম্ফল পৌঁছে বিকেলে মূল স্টেডিয়ামেই অনুশীলন করেন ফ্রান গঞ্জালেস, পাপা বাবাকর দিয়োহারারা। ড্যানিয়েল সাইরাস এবং আশুতোষ মেহতা যথাক্রমে চোট এবং কার্ড সমস্যায় যেতে পারেননি। এদিনের অনুশীলনে আশুতোষের জায়গায় লালরাম চুলোভাকে খেলিয়েছেন কিবু। ড্যানিয়েলের জায়গায় খেলেন ফ্রান গঞ্জালেস। অর্থাৎ স্টপারে খেলবেন দুই ফ্রান—মোরান্তে এবং গঞ্জালেস। লেফট ব্যাকে খেলানো হয়েছে ধনচন্দ্র সিংহকে। মাঝমাঠে শেখ সাহিল, জোসেবা বেইতিয়া, নংদাম্বা নওরেমের সঙ্গে কোমরন তুর্সুনভ।
টানা এগারো ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে মোহনবাগান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পঞ্জাব এফসি-র সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান ১০ পয়েন্টের। এখনও পর্যন্ত আই লিগের সব চেয়ে বেশি গোল (৩০) করেছেন পালতোলা নৌকার সওয়ারিরা। এই আবহেও কিবুর রণনীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। দলের মধ্যে যাতে আত্মতুষ্টি না আসে, তার জন্য বলে দিয়েছেন, ‘‘যে ট্রাউকে আমরা কল্যাণীতে দেখেছিলাম, সেই দলে অনেক বদল ঘটে গিয়েছে। কোচ তো বদলেছে, সঙ্গে ছয়-সাত জন নতুন ফুটবলার ঢুকেছে দলে। দুই নাইজিরীয় স্ট্রাইকার জোয়েল সানডে এবং জোসেফ ওলেলে খুব ভাল ফর্মে আছে। মাঝমাঠে জেরার্ড উইলিয়ামস আছে। রক্ষণে ওগো উচে আছে। প্রচণ্ড কঠিন হবে
ম্যাচ জেতা।’’
এগারো দলের লিগে নবম স্থানে রয়েছে মণিপুরের ক্লাব। দলের কোচ দিমিত্রিস দিমিত্রিউকে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে তাড়িয়ে দিয়েছেন ক্লাব কর্তারা। ফলে কোচের পদ ফাঁকা। কোচিং করাচ্ছেন গ্রাহাম উইসলে। ট্রাউয়ের এই সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হলেও কিবু তা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ। পরের সাত ম্যাচের চারটিতে জিতলেই খেতাব নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও মোহনবাগান কোচকে এ দিন বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমি জাদুগর নই। কে কবে খেতাব পাবে বলা কঠিন। তবে এটা বলতে পারি, আমরা খেতাবের কাছে অনেকটাই পৌঁছেছি। বলতে পারেন, দল পঁয়ষট্টি শতাংশ এগিয়েছে। আরও কিছুটা পথ যেতে হবে। ট্রাউকে হারাতে পারলে আরও একটু এগোনো যাবে।’’ মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ অবশ্য নিজের মাঠে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy