জিনানের অলিম্পিক স্পোর্টস সেন্টারে অনুশীলনে মোহনবাগান দল।
সোমবার বিকেলে যখন জিনানের মূল স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে নামল মোহনবাগান তখন টার্ফের পাশে জমে রয়েছে বরফ। এই বরফের সঙ্গে মোহনবাগানের দেখা হয়েছে জিনানে পৌঁছেই। তখনই বোঝা গিয়েছিল আসল লড়াই ঠান্ডার সঙ্গেই। রবিবার পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে যাওয়ায় আর কেউই হোটেলের বাইরে যাননি। সোমবার বিকেল ৪.৩০-এ অনুশীলন করতে গিয়েই আসল ঠান্ডা বুঝতে পারল সঞ্জয় সেন অ্যান্ড ব্রিগেড। মঙ্গলবার এই জিনান অলিম্পিক স্পোর্টস সেন্টারেই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে হবে স্থানীয় সময় বিকেল তিনটেয়। ভারতীয় সময় দুপুর ১২.৩০।
এদিন টুপি, জ্যাকেট পরেই অনুশীলন করল পুরো দল। তাতেও ঠান্ডায় রীতিমতো জবুথবু অবস্থা। একঘন্টার অনুশীলনে ঠান্ডার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি হালকা অনুশীলনই করালেন কোচ সঞ্জয় সেন। ওয়ার্ম আপ ছাড়াও সিচুয়েশন প্র্যাকটিস ও সেটপিসে নজর দিলেন কোচ। এদিন রবিবারের থেকে পারদ আরও নেমে গিয়েছে। প্রায় মাইনাস ১০ এর কাছাকাছি ছিল তাপমাত্রা। শোনা যাচ্ছে মঙ্গলবার এই তাপমাত্রা আরও কমবে। সঙ্গে প্রচন্ড ঠান্ডা হাওয়া। খেলার সময় এই হাওয়ার সঙ্গেও লড়াই করতে হবে মোহনবাগানকে।
এরকম আবহাওয়ায় খুব একটা খেলেনি মোহনবাগান। যেখানে বেশিক্ষণ বাইরে থাকাই সমস্যা হচ্ছে সেখানে ৯০ মিনিট মাঠে থাকাটাই এখন আসল চ্যালেঞ্জ সনি, প্রণয়দের কাছে। এর মধ্যেই আত্মবিশ্বাসী পুরো দল। বিদেশের মাটিতে নিজেদের সেরা দিয়েই ফিরতে চায় তাঁরা। দলে চোট-আঘাতের কোনও সমস্যা নেই। কর্নেল গ্লেনের দলের সঙ্গে না যেতে পারাটাও এখন অতীত। সব ভুলে এখন ঠান্ডাকে জয় করে শ্যানডং লুনেংকে বেগ দেওয়াই লক্ষ্য পুরো দলের। ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে যে হারানো সহজ হবে না সেটা জানে সকলেই। তবুও শেষ পর্যন্ত লড়াই দিতে তৈরি টিম মোহনবাগান।
আরও খবর
শ্যানডং লুনেং ও ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই মোহনবাগানের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy