ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছিল রাঁচিতে। আজ দুপুরে ঠিক তখনই ঝড়ের বেগে স্টেডিয়ামের দিকে ছুটল একটি মোটরবাইক। জংলা নকশা আঁকা হেলমেটে মুখ ঢাকা সওয়ারির। কিন্তু তাতেও ভক্তদের নজর এড়াতে পারলেন কই ক্যাপ্টেন কুল!
রাঁচির হরমূ বাইপাস দিয়ে বিরসা চক পেরিয়ে জেএসসিএ স্টেডিয়ামের দিকে এগোতেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনির স্পোর্টস বাইক-এর পিছনে ধাওয়া করলেন কয়েক জন ক্রিকেটপ্রেমী।
কালো টি-শার্ট, সিক্স পকেট কার্গো তত ক্ষণে ভিজে সপসপে। বৃষ্টির তেজ যত বেড়েছে, ততই মোটরবাইকের গতি বাড়ান ধোনি। রাস্তা ছিল প্রায় ফাঁকা। অন্য দিনের চেয়ে কম সময়েই স্টেডিয়ামে পৌঁছন ক্যাপ্টেন কুল। রাস্তায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে আরও কিছু ক্ষণ ভেজার পর ভিতরে ঢুকে যান। অনুরাগীদের হাতে মোবাইল-ক্যামেরা দেখে হাসিমুখে ‘পোজ’ও দেন।
জিম্বাবোয়ে সফরের পর আপাতত লম্বা ছুটিতে রয়েছেন ধোনি। হরমুর বাড়িতে মেয়ে জিভার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। কিন্তু তাতেও বিরাম নেই অনুশীলনে। এ দিনও সে জন্যই গিয়েছিলেন স্টেডিয়ামে। রাঁচির আকাশে জলভরা মেঘ জমেছিল সকাল থেকেই। তা দেখেও নিজের গ্যারাজে থাকা বিলাসবহুল গাড়িগুলির দিকে ফিরেও তাকাননি ধোনি। মাঠে রওনা হন পছন্দের মোটরবাইকেই। মাঝরাস্তায় নামে বৃষ্টি।
ধোনির বন্ধুমহলের খবর, ছুটিতে রাঁচিতে এলে মাঝেমধ্যেই মোটরবাইকে শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়ান ‘মাহি’। ভক্তদের নজর এড়াতে ভোরবেলা বা গভীর রাতে সাধারণত বাড়ি থেকে বের হন। ট্রাফিক নিয়ম ভেঙে বেশি গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য দিনকয়েক আগে তাঁকে জরিমানাও দিতে হয়। কিন্তু তাতেও বদলাননি ধোনি।
এ দিন বৃষ্টি-ভেজা ধোনির ছবি তুলে উল্লসিত তাঁর ভক্তরা। তাঁদেরই এক জন বিনয় ঝা। তিনি বলেন, ‘‘প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যেই দেখলাম একটা মোটরবাইক স্টেডিয়ামের দিকে যাচ্ছে। হেলমেট থাকলেও ধোনিকে চিনতে পারি। ওঁর পিছনে আমরাও ধাওয়া করি। স্টেডিয়ামের সামনে পৌঁছে দেখি, রাস্তায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজছেন ধোনি। ওই ছবি না তুলে পারা যায়?’’
জেএসসিএ স্টেডিয়ামের এক কর্তা জানান, বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে এ দিন যে ভাবে ধোনি প্রাকটিসে এলেন তাতে সকলেই অবাক। তিনি বলেন, ‘‘বৃষ্টিতে ভিজে প্রচণ্ড খুশি ধোনি। সচরাচর ওঁকে এমন মেজাজে পাওয়া যায় না।’’