Advertisement
E-Paper

গাড়ি রাখা নিয়ে বচসা, পর পর পাঁচটি গুলি পাওয়ার লিফটারকে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু

রাস্তায় গাড়ি রাখা নিয়ে এক মত্ত ব্যক্তির সঙ্গে বচসায় জড়ান বংশ। তাঁর দুই বান্ধবী পরিস্থিতি সামলাতে গেলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন তিনি। বাধা দেওয়ায় বংশকে পর পর পাঁচটি গুলি করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৮
Picture of Fire arms

—প্রতীকী চিত্র।

গাড়ি রাখা নিয়ে বচসা। তার জেরে জাতীয় স্তরে পদকজয়ী পাওয়ার লিফটারকে লক্ষ্য করে পর পর পাঁচটি গুলি মত্ত ব্যক্তির। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় ২০ বছরের যুবকের। ঘটনাটি হরিয়ানার সোনীপতের। মৃত পাওয়ার লিফটারের নাম বংশ।

রবিবার দুপুরে সোনীপতের প্রগতি নগরে বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন বংশ। রাস্তার এক কোণে রেখেছিলেন নিজের বাইকটি। কিছু ক্ষণ পর গাড়ি নিয়ে সেখানে আসেন কুলদীপ নামে এক ব্যক্তি। বংশের বাইকের কাছে এসে সমানে গাড়ির হর্ন বাজাতে থাকেন। চিৎকার-চেঁচামেচিও শুরু করেন। আওয়াজ পেয়ে বংশ বাইরে আসেন। আসেন তাঁর দুই বন্ধু অক্ষিতা এবং বংশিকাও। তাঁদের দেখে কুলদীপ বলেন, বংশ যে ভাবে গাড়ি রেখেছেন তাতে রাস্তা আটকে গিয়েছে। তিনি গাড়ি নিয়ে যেতে পারছেন না। বংশ তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, গাড়ি যাওয়ার মতো জায়গা ছেড়েই বাইক রেখেছেন। কিন্তু বংশের কথায় কান না দিয়ে চিৎকার করতে থাকেন কুলদীপ। দু’জনের বচসা শুরু হয়ে যায়।

পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন অক্ষিতা এবং বংশিকা। সে সময় তাঁদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন কুলদীপ। বাধা দেন বংশ। এর পর কথা না বাড়িয়ে গাড়ি থেকে বন্দুক নিয়ে এসে বংশকে লক্ষ্য করে পর পর পাঁচটি গুলি করেন কুলদীপ। দু’টি গুলি লাগে বংশের পেটে। একটি করে গুলি লাগে তাঁর বুকে, মুখে এবং পিঠে। সঙ্গে সঙ্গে বংশকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

পুলিশ অভিযুক্ত কুলদীপকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় তিনি মত্ত ছিলেন। অক্ষিতা এবং বংশিকার বাড়ির কাছেই থাকেন। পেশায় তিনি পাথরের ব্যবসায়ী। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন।

তিন বছর ধরে পাওয়ার লিফটিং করছিলেন বংশ। ২০২৩ সালে জেলা স্তরের প্রতিযোগিতায় ৭৪ কেজি বিভাগে সোনা জেতেন। ২০২৪ সালে দিল্লিতে আয়োজিত জাতীয় পাওয়ার লিফটিংয়ে রুপো পান। অক্ষিতা তাঁর সহপাঠী। একসঙ্গে জিমও করেন তাঁরা। রবিবারই দিল্লির এক হাসপাতালে বংশের বাবার কিডনিতে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। ছেলের মৃত্যুর খবর জানার তিনি আর অস্ত্রোপচার করাননি।

Haryana car parking
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy