অবশেষে প্যারিসে স্বপ্নপূরণ!
ঠিক এক মাস আগে দোহায় আয়োজিত ডায়মন্ড লিগে ৯০ মিটার পার করেও সোনার স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছিল নীরজ চোপড়ার। শেষ থ্রোতে নীরজকে টপকে বাজিমাত করেছিলেন জার্মানির য়ুলিয়ান ওয়েবার। তাই শুক্রবার নজর ছিল প্যারিস ডায়মন্ড লিগে নীরজ পিছিয়ে দিতে পারেন কি না জার্মানির প্রতিদ্বন্দ্বীকে। ভক্তদের সেই আশা পূরণ করলেন টোকিয়ো অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী।
এ দিন প্রথম থ্রোই নীরজকে সোনা এনে দেয়। তিনি ছোড়েন ৮৮.১৬ মিটার। ওয়েবারের জ্যাভলিন গিয়ে পড়ে ৮৭.৮৮ মিটার দূরে। প্রথম থ্রো থেকেই মূলত এই দু’জনের মধ্যেই লড়াই চলছিল। গ্রেনাডার প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অ্যান্ডারসন পিটার্স এক বারের জন্যও লড়াইয়ে আসেননি। ষষ্ঠ থ্রো পর্যন্ত লড়াইয়ে ছিলেন ব্রাজিলের দা সিলভা লুইস মৌরিসিয়ো। কিন্তু তৃতীয় থ্রোতে ৮৬.৬২ মিটার ছাড়া তাঁর জন্য বলার মতো কিছুই নেই।
নীরজের দ্বিতীয় থ্রো এর দূরত্ব ৮৫.১০ মিটার। ওয়েবার ৮৬.২০ মিটার ছুড়লেও নীরজকে টপকাতে পারেননি। অবশ্য পরের তিনটি থ্রোই ফাউল করেন প্যারিস অলিম্পিক্সের রুপোজয়ী তারকা। শেষ থ্রো হয় মাত্র ৮২.৮৯ মিটার। তখনই হয়তো আশঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছিল। অনেকে ভেবেছিলেন শেষ থ্রোয়ে না বাজিমাত করে ফেলেন ওয়েবার। কিন্তু কয়েক মিনিট পরেই সেই মেঘকেটে যায়। কারণ দোহায় ৯১.০৬ মিটার ছোড়া ওয়েবারের কাছে সুযোগ ছিল একমাত্র ষষ্ঠ তথা শেষ থ্রোয়ে। কিন্তু ফিরে এল না এক মাস আগের সেই রাত। ওয়েবারের শেষ থ্রো গিয়ে পড়ল এ বার ৮১.০৮ মিটারে। নীরজের সোনা নিশ্চিত হয়ে যায়।
২০১৭ সালে শেষ বার প্যারিসে ডায়মন্ড লিগে অংশ নিয়েছিলেন নীরজ। গত বছরে অলিম্পিক্সের কারণে অংশগ্রহণ করেননি। ফলে এ বারে পদক জেতার জন্য মরিয়া ছিলেন। সেই মনোভাবই আট বছর পরে প্যারিস থেকে চ্যাম্পিয়নের পদক নিয়ে এল নীরজের জন্য।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)