বাংলার নতুন কোচ সাইরাজ বাহুতুলে।
টেনশন নয়। মোটিভেশন।
হেডস্যর নয়। বন্ধু।
সাফল্যের উপরোক্ত জোড়ামন্ত্র নিয়ে শেষ পর্যন্ত বঙ্গ ক্রিকেটে আগমন ঘটতে চলেছে সাইরাজ বাহুতুলের। দেড় মাস ধরে অতিবাহিত কোচ-নাটকে যবনিকা টেনে। বঙ্গ ক্রিকেটকে আরও একটা নাটকের দিন উপহার দিয়ে।
বাংলার কোচ-ঘোষণা বাংলায় হল না। গঙ্গাপাড়ের বদলে সেটা হল যমুনা তীরে। পূর্বতন কোচ অশোক মলহোত্র জানতে পারলেন না যে, তিনি আর পদে নেই। গত মরসুমের অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লও বিকেল পর্যন্ত চূড়ান্ত নামটা জানতেন না। অন্ধকারে থেকে যেতে হল সিএবির একাংশকেও।
নয়াদিল্লিতে এ দিন আইপিএলের ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক ছিল। সেখানেই উপস্থিত মিডিয়াকে ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য তথা সিএবি যুগ্ম-সচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলে দেন যে, বাংলার নতুন কোচের নাম সাইরাজ বাহুতুলে। সহকারী কোচ— প্রাক্তন বঙ্গ পেসার রণদেব বসু। এবং চলতি মাসের শেষাশেষি বাহুতুলে লক্ষ্মীরতন শুক্লদের দায়িত্ব নিচ্ছেন।
বেশ কয়েক দিন ধরেই সিএবিতে তীব্র জল্পনা ছিল যে, সাইরাজকেই কোচ চাইছেন সৌরভ। কারণ, তাঁর বয়স কম। কিন্তু সাইরাজই এক সময় সেটা উড়িয়ে দেওয়ায় কোচ-নির্বাচন নিয়ে জট নতুন করে তৈরি হয়। মুম্বইকর বলে দিয়েছিলেন যে, মুম্বইয়ের অনূর্ধ্ব ২৩ দলের দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছেন তিনি। যেটা বলেননি তা হল, দায়িত্ব নিলেও সেখানে কোনও আর্থিক লেখাপড়া ছিল না। কোনও চুক্তি হয়নি। বাংলায় আসার সম্ভাবনা আছে জেনে সেটা নাকি তিনি করেছিলেন। এ দিন মুম্বইয়ের কোনও কোনও ক্রিকেট কর্তা বললেন সাইরাজ বাংলায় যেতে পারেন। তাঁদের দিক থেকে কোনও অসুবিধা হবে না।
‘‘কয়েকটা ব্যাপার আমার মেটানোর আছে। সেগুলো মিটিয়ে বাংলার দায়িত্ব নেব,’’ এ দিন মুম্বই থেকে ফোনে বলছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় লেগ স্পিনার। যিনি অতীতে বিদর্ভ, কেরলকে কোচিং করিয়েছেন ঠিকই কিন্তু সেগুলো তথাকথিত বড় টিম ছিল না। বাংলা আর কেরল এক নয়। অসুবিধে হবে না? তা ছাড়া টিমে বিভাজন থেকে শৃঙ্খলাজনিত ব্যাপারস্যাপার— বাংলায় অনেক কিছু আছে।
‘‘বাংলায় কোচিং করানো অসুবিধে নয়, মোটিভেশন হবে। নতুন চ্যালেঞ্জ বলতে পারেন। আমিও জানি এটা বড় টিম,’’ বলছিলেন সাইরাজ। সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘আর আগে আমি যাই। গিয়ে সব দেখি। তার পর ঠিক করব, কী করতে হবে না হবে। ক্রিকেটারদের থেকে সেরাটা বার করে আনা আমার কাজ। বন্ধুর মতো মিশে সেটা করতে হবে।’’ শোনা গেল, অগস্টের মাঝামাঝি এসে বাংলায় দিন সাত-দশের একটা শিবির চাইছেন নতুন কোচ। যাতে শ্রীলঙ্কা সফরে রওনা হওয়ার আগে টিমটাকে দেখে নেওয়া যায়।
ভাল ভাবনা। শুধু একটাই যা ব্যাপার। এক যুগ্ম সচিব যখন নয়াদিল্লিতে কোচের নাম ঘোষণা করছেন, তখন সিএবি আর এক যুগ্ম সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় নাকি নামটাই জানতেন না। বললেন, ‘‘জানতাম না যে সাইরাজ কোচ হচ্ছে। এতে বাংলার ভাল হলে, ভাল।’’ কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে-ও বললেন, ‘‘জানতাম না। এটাও জানি না যে চুক্তিটা কী।’’ ক্রিকেটার, নির্বাচক— অনেকেই ব্যাপারটা শুনেছিলেন। পুরোপুরি জানতে পারলেন এ দিনের পর। নয়াদিল্লিতে সৌরভের সরকারি ঘোষণার পরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy