প্রস্তুতি: ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু সনিদের। আই লিগে বুধবার মুম্বই এফ সি-র বিরুদ্ধে ম্যাচ। নিজস্ব চিত্র
আই লিগের ফিরতি ডার্বি খেলার জন্য শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের ডেরাকেই বেছে নিল মোহনবাগান।
ফের শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামেই হবে ৯ এপ্রিলের মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ। সরকারি ঘোষণা হবে আজ মঙ্গলবার। ওই ম্যাচের সংগঠক সবুজ-মেরুন কর্তাদের সঙ্গে সোমবার আলোচনায় বসেছিলেন শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদের কর্তারা। সেখানেই আর্থিক-সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার পর সমাধান সূত্র বেরোয়। অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত রাতে বললেন, ‘‘আলোচনা হয়েছে। সামাধান সূত্রও বেরিয়েছে। প্রেসিডেন্ট এবং সচিবের সঙ্গে কথা বলার পর সব চূড়ান্ত হবে। ফেডারেশনকেও জানিয়ে দেব।’’ তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ইস্টবেঙ্গল সমর্থক সমৃদ্ধ শহর জেনেও কেন সেখানেই ডার্বি সংগঠনের সিদ্ধান্ত নিলেন? দেবাশিস বলেন, ‘‘ডুরান্ড, রোভার্সেও তো ডার্বি অন্য জায়গায় খেলেছি। শিলিগুড়িতে না খেলার কী আছে? ভারতের যে কোনও জায়গায় ডার্বি খেলতে আমাদের সমস্যা নেই। তবে আমরা প্রথম ডার্বির চেয়ে টিকিটের দাম কম করছি। আমাদেরও প্রচুর সমর্থক মাঠে থাকবেন ওই দিন।’’ উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি আই লিগের প্রথম ডার্বির সংগঠক ছিল ইস্টবেঙ্গল।
ডার্বির আগে সনি নর্দে, কাতসুমিদের আরও দু’টি ম্যাচ খেলতে হবে আই লিগে। খেতাবের লড়াইতে টিঁকে থাকতে গেলে ওই দুটি ম্যাচ জেতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের মাঠে মুম্বই এফ সি এবং বেঙ্গালুরুর মাঠে সুনীল ছেত্রীদের টিমের সঙ্গে। গোয়ায় গিয়ে চার্চিল ব্রাদার্সের কাছে আই লিগে প্রথম হারের পর হঠাৎ-ই থমকে গিয়েছে সঞ্জয় সেনের টিম। এতটাই যে, এ দিন বিকেলে অনুশীলনের আগে দীর্ঘক্ষণ ওই ম্যাচের ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে কোথায় ভুল হচ্ছে তা বোঝান মোহনবাগান কোচ। জানা গিয়েছে, মূলত চার্চিল ম্যাচে এগিয়ে থাকার পর যেভাবে এদুয়ার্দো এবং আনাসরা বিশ্রী গোল হজম করেছেন তা দেখানো হয়। গোয়ায় শনিবার আলো বন্ধের আগের তিরিশ মিনিটের খেলাই দেখানো হয় ড্যারেল ডাফি, দেবজিৎ মজুমদারদের। চার্চিল ম্যাচের নানা অংশ দেখানোর পর সঞ্জয় ফুটবলারদের বলে দেন, ‘‘হেরেছি বলেই তোমাদের সমালোচনা করছি তা নয়। সব টিম সব ম্যাচ জেতে না। কিন্তু কোনও ম্যাচে এভাবে বাচ্চা ছেলেদের মতো গোল খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা ভুলে যাও।’’
পরে রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে নেমেও রক্ষণ সংগঠনের উপর জোর দেন সবুজ-মেরুন কোচ। তবে রক্ষণের দুই ফুটবলার এদুয়ার্দো ও আনাস এবং মিডিও প্রণয় হালদারের চোট রয়েছে। তারা টিমের সঙ্গে এ দিন অনুশীলন করেননি। পরিস্থিতি যা তাতে বুধবার মুম্বই এফ সি-র বিরুদ্ধে রক্ষণে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আইএসএল ফেরত বেশিরভাগ ফুটবলারই বারবার চোট পাচ্ছেন মোহনবাগানে। এটা চিন্তায় ফেলছে কোচকে। রক্ষণের মতোই চোট নিয়েও চিন্তিত সবুজ-মেরুন কোচ।
এ দিকে মরসুমের মাঝপর্বে এসেও সনি নর্দে এখনও তাঁর চূড়ান্ত ফর্মে ফিরতে না পারায় চিন্তায় পুরো টিম ম্যানেজমেন্ট। সঞ্জয় অবশ্য তাঁর হাইতি মিডিও-র পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। বললেন ‘‘কোনও ফুটবলারের খারাপ সময় যেতেই পারে। মনে হচ্ছে এত সনি, সনি করাটা চাপে ফেলে দিচ্ছে ওকে।’’ চার্চিলের কাছে হেরে সামান্য চাপে পড়ে গেলেও মোহনবাগান ড্রেসিংরুমে তার রেশ ঢুকতে দিতে নারাজ টিম ম্যানেজমেন্ট। এ দিন যেমন অনুশীলনের শেষে টিমের সফলতম গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদারের জন্মদিন পাল করলেন ফুটবলাররা। কেক কেটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy