Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

ফাইনাল উপভোগ করো, রাকিতিচ-এমবাপেকে বার্তা নেমারের

যে দু’জনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্রাজিলের এই মহাতারকা বলেছেন, ‘‘আমি তোমাদের দু’জনের জন্যই খুব খুশি। ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্সের মানুষ যে ভাবে তোমাদের নিয়ে উৎসবে মেতেছে, সেটা দেখতেও খুব ভাল লাগছে।’’ এর পরেই অবশ্য সরল স্বীকারোক্তি নেমারের, ‘‘অস্বীকার করছি না, আজ আমিও মাঠে থাকতে চেয়েছিলাম তোমাদের মতো। কিন্তু এই বিশ্বকাপে হল না। দেখা যাক, পরের বার কাতারে কী হয়।’’

শুভেচ্ছা: দুই বন্ধু রাকিতিচ এবং এমবাপের পাশে নেমার। ফাইল চিত্র

শুভেচ্ছা: দুই বন্ধু রাকিতিচ এবং এমবাপের পাশে নেমার। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৫:০১
Share: Save:

মাস খানেক আগে যখন রাশিয়ার মাটিতে পা রেখেছিলেন তিনি, স্বপ্ন ছিল বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার। কিন্তু তিনি— নেমার দা সিলভা স্যান্টোস (জুনিয়র) সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি। তিনি পারেননি, কিন্তু তাঁর প্রাক্তন এবং বর্তমান ক্লাব সতীর্থরা পেরেছেন। আজ, রবিবার, মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ জেতার লড়াইয়ে নামবেন ক্রোয়েশিয়ার ইভান রাকিতিচ এবং ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে। যথাক্রমে নেমারের বার্সেলোনা এবং প্যারিস সাঁ জারমাঁর সতীর্থ।

যে দু’জনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্রাজিলের এই মহাতারকা বলেছেন, ‘‘আমি তোমাদের দু’জনের জন্যই খুব খুশি। ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্সের মানুষ যে ভাবে তোমাদের নিয়ে উৎসবে মেতেছে, সেটা দেখতেও খুব ভাল লাগছে।’’ এর পরেই অবশ্য সরল স্বীকারোক্তি নেমারের, ‘‘অস্বীকার করছি না, আজ আমিও মাঠে থাকতে চেয়েছিলাম তোমাদের মতো। কিন্তু এই বিশ্বকাপে হল না। দেখা যাক, পরের বার কাতারে কী হয়।’’

রাকিতিচের সঙ্গে তিনি খেলে এসেছেন বার্সেলোনায়। এমবাপের সঙ্গে খেলছেন পিএসজি-তে। কার দিকে সমর্থনের পাল্লা ঝুঁকে থাকবে? নেমারের কথায় ইঙ্গিত, বার্সেলোনা মিডফিল্ডারের দিকেই তাঁর সমর্থন থাকবে। নেমার বলেছেন, ‘‘আমি আমার প্রাক্তন ক্লাব বার্সেলোনার সতীর্থ, ‘সোনার ছেলে’র পাশেই আছি।’’ এর পরে দু’জনের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘‘রবিবারটা খুব ভাল করে উপভোগ করো। এটা মাথায় রেখো, ফাইনালের ফল যাই হোক না কেন, তোমরা ইতিমধ্যেই চ্যাম্পিয়ন ফুটবলার হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছ।’’ নেমার যোগ করেন, ‘‘তোমরা দু’জনই যে আমার বন্ধু, এটা ভেবেই আমার গর্ব হচ্ছে। এই ফাইনালটা নিয়ে ফুটবলবিশ্বেরও গর্বিত হওয়া উচিত।’’

বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা বলতে বলতে নেমার ফিরে যাচ্ছেন ব্রাজিল প্রসঙ্গে। বলে ফেলেছেন, ‘‘আমার বলতে বাধা নেই, এই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়াটা আমার ফুটবল জীবনের সব চেয়ে দুঃখজনক মুহূর্ত। যন্ত্রণাটা আরও বেশি হচ্ছে, কারণ আমরা জানতাম, ব্রাজিলের ক্ষমতা ছিল ফাইনালে যাওয়ার। কিন্তু
আমরা পারিনি।’’

কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে হেরেই ছিটকে যেতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। যে হারটা এখনও মেনে নিতে পারছেন না নেমার। বলছেন, ‘‘আমাদের ক্ষমতা ছিল। পরিবেশ, পরিস্থিতিও আমাদের পক্ষে ছিল। আমরা ইতিহাস তৈরি করতে পারতাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেরে বিদায় নিতে হল।’’

ব্যক্তিগত ভাবেও এই হার যে তাঁকে কতটা ধাক্কা দিয়ে গিয়েছে, সেটা নেমারের কথায় পরিষ্কার। তাঁর মন্তব্য, ‘‘এই রকম ধাক্কা খাওয়ার পরে ফুটবল চালিয়ে যাওয়ার মতো শক্তি ফিরে পাওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু আমি নিশ্চিত, ঈশ্বর আমাকে শক্তি দেবেন যে কোনও কিছুর
মোকাবিলা করার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE