যুবরাজ সিংহকে এত ঘন দাড়িতে খুব একটা দেখা যায় না। ওর এত কম উচ্ছ্বাস প্রকাশও বিরল। বিশেষ করে যেখানে ওয়ান ডে-তে সবে দেড়শো করে উঠেছে। যুবরাজ এমন একজন মানুষ যে ক্রিকেট মাঠের বাইরের জীবনটাকেও খুব ভাল করে দেখেছে। যুবরাজ এমন একজন মানুষ যে জানে সামান্যতম প্রতিভাও কতটা অমূল্য। যুবরাজ এমন একজন মানুষ যে জানে জীবন কতটা ক্ষণস্থায়ী।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ও যে রান করছিল, সেটা অনেকেই দেখেননি। অনেকেই জানতেন না, এখন যুবরাজ কতটা ফিট। অনেকেই জানতেন না যে একজন অপূর্ণ ক্রিকেটার, যে সময় সময় শর্ট পিচড বোলিং বা মানসিক পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধে নড়বড়ে, নিজের ইচ্ছের জোরে নিজেকে নতুন সুযোগ দিচ্ছিল। ভাগ্য ভাল, যাঁদের মতামত এ সব ক্ষেত্রে জরুরি, সেই নির্বাচকদের ক্যাপ্টেন বলেছিল যে, আমার ওকে চাই। কোহালিকে যতটুকু জানি, মনে হয় এ ভাবেই ব্যাপারটা হয়েছিল। ভাবলে অবাক লাগে, নতুন প্রতিভার আলোয় আমাদের চোখ যখন ঝলসে যাচ্ছে, তখন বুদ্ধিমানেরা মৃতপ্রায় আগুনের জ্বলন্ত অঙ্গার ভুলে যান না। টেস্ট সিরিজে পার্থিব পটেলের পর এ বার যুবরাজও প্রত্যাবর্তনের সুযোগটা দু’হাতে আঁকড়ে ধরেছে।
তার পরেও আছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। যে এখন বেশি ওভার ব্যাট করার লক্ষ্যে নামছে। ফিনিশিংয়ের উথালপাথালটা কেদার যাদব, হার্দিক পাণ্ড্যদের উপর ছেড়ে দিয়ে। ধোনি স্পেশ্যালিস্ট ব্যাটসম্যানের ভূমিকাটা বেছে নিয়েছে। ও জানে, দরকারে ওকে পুরো ইনিংস ব্যাট করতে বলা হতে পারে। তার পরে সাড়ে তিন ঘণ্টা কিপিংও করতে হবে। তরুণ বা প্রবীণ যে-ই হোক, কাজটা কঠিন। ধোনি অবশ্য কোনও দিনই চ্যালেঞ্জ থেকে পিছিয়ে যায়নি।
কটকের ম্যাচের আর এক প্রাপ্তি হল রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ওকে ক্যাপ্টেন বলেছিল টেস্ট ম্যাচ মোডে বল করতে। এমনিতেও অশ্বিনের জাতের বোলার দোআঁশলা কাজ করবে না। অশ্বিন আক্রমণাত্মক লাইনে বল করে গেল। ওর তিনটে উইকেটই খুব দামি। জাডেজার সঙ্গে মিলে অশ্বিন নিশ্চিত করেছিল যাতে টার্গেটটা ইংল্যান্ডের নাগালের বাইরেই থাকে। জাডেজা মনে হচ্ছে তিনটে ফর্ম্যাটেই ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান প্লেয়ার হয়ে উঠবে।
সিরিজ জেতা হয়ে গেলেও মনে হয় না কলকাতায় গা ছেড়ে দেবে কোহালিরা। হাঙর কিন্তু রক্তের স্বাদ পেয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy