১৯৫৮ সাল। তিন প্রধানের বাইরে সে বারই প্রথম এবং শেষ বার কলকাতা লিগ জিতেছিল অন্য কোনও দল। ইস্টার্ন রেলের সেই জয়ের অন্যতম স্থপতি পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনন্যসাধারণ পারফরম্যান্সের কথা মনে করলে ৬২ বছর পরেও চোখের কোণ চিকচিক করে ওঠে প্রাক্তন অলিম্পিয়ান নিখিল নন্দীর।
তাঁর ভ্রাতৃসম পিকে সবাইকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। পদ্মশ্রী পিকে-র বর্ণময় জীবন রূপকথা হয়ে রয়ে গিয়েছে। পুরনো দিনের স্মৃতিতে ডুব দিয়ে নিখিলবাবু বলছেন, ‘‘আমার আর প্রদীপের একটা মজার কথা মনে পড়ছে। ১৯৫৮ সালের লিগের মাঝে কিছুদিন খেলা বন্ধ ছিল। সেই সময়ে খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। বাঘাদা (বাঘা সোম) সেই সময়ে আমাদের দিন কয়েকের জন্য অনুশীলন বন্ধ রাখতে বলেছিলেন। একদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। আমি আর প্রদীপ ভেজা মাঠে অনুশীলন করছিলাম।’’
কিছু ক্ষণ পরেই পিকে ও নিখিলবাবু দেখতে পান ক্ষুব্ধ ‘বাঘাদা’ মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে। তার পরের ঘটনা স্মৃতিচারণ করে নিখিলবাবু বলছেন, ‘‘বাঘাদা রেগে গিয়ে আমাদের বললেন, তোমরা মাঠ ছেড়ে এখনই চলে যাও। না হলে কিন্তু সাসপেন্ড করবো।’’ বাঘা সোম যেমন ফুটবলারদের স্নেহ করতেন, তেমনই ছিলেন প্রচণ্ড কড়া। সবাই তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন। ‘বাঘাদা’র হুঙ্কারে মাঠ ছেড়ে প্রায় পালিয়ে গেলাম দু’জন।