সংঘর্ষবিরতি হলেও সীমান্ত উত্তপ্ত রয়েছে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ও তার পরে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জেরে ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত এখনও কমেনি। এই পরিস্থিতিতেই ভারতে খেলতে আসতে চাইছে পাকিস্তান। সেই বিষয়ে এশীয় সংস্থার কাছে ভিসার আর্জি জানিয়েছে তারা।
২৭ অগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতে আয়োজিত হবে পুরুষদের হকির এশিয়া কাপ। ভারত-পাক সংঘাতের প্রভাব পড়েছে দু’দেশের খেলায়। ইতিমধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, আইসিসি প্রতিযোগিতাতেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তারা খেলতে চায় না। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও জানিয়ে দিয়েছে, ভারতে ক্রিকেট খেলতে আসবে না তারা। কিন্তু পাকিস্তান হকি সংস্থা অন্য কথা ভাবছে। বিহারে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় তারা না খেললে তার প্রভাব পড়বে সে দেশের ক্রমতালিকায়। পাকিস্তান হকি সংস্থার এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, এশিয়া কাপে না খেললে পরের বছর নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামে আয়োজিত পুরুষদের হকি বিশ্বকাপে তাদের খেলা নিয়ে সংশয় হবে। তিনি বলেছেন, “এশিয়া কাপ খেললে হকি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ আমাদের বাড়বে। সেই সুযোগ আমরা হারাতে চাই না। আমরা আশা করছি ভারতীয় হকি সংস্থা কোনও সমাধান বার করবে। আমরা এশীয় হকি সংস্থার কাছে আর্জি জানিয়েছি, খেলোয়াড়দের ভিসা যাতে নিশ্চিত করা হয়।”
পাকিস্তান অনুরোধ করলেও ভারত তাদের ভিসা দিতে রাজি হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ভারতীয় হকি সংস্থার সচিব ভোলানাথ সিংহ সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “এত তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা চলব। আগেও সেটাই হয়েছে। বিশেষ করে পহেলগাঁওয়ে যে বর্বরোচিত হামলা হয়েছে ও তার পরে ভারত সরকার যে জবাব দিয়েছে তাতে এত আগে থেকে কিছু বলা যাবে না।”
আরও পড়ুন:
২০২৩ সালে ভারতে হকি বিশ্বকাপ হয়েছিল। সেখানে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি পাকিস্তান। এ বার যাতে তেমনটা না হয় সেই চেষ্টা করছে তারা। এই মুহূর্তে এশিয়া কাপে প্রতিযোগী দেশের তালিকায় ভারত, পাকিস্তান ছাড়া রয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চিন, মালয়েশিয়া, ওমান ও চাইনিজ় তাইপেই। যদি পাকিস্তানকে ভিসা না দেওয়া হয় তা হলে সাত দলের প্রতিযোগিতা হতে পারে। কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা এশীয় হকি সংস্থার উপর নির্ভর করছে। তবে যদি ভারত সরকার অনুমতি না দেয় তা হলে যে ভারতীয় হকি সংস্থা পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের ভিসা দেবে না তা পরিষ্কার। শেষ বার ২০১৬ সালে ভারতে জুনিয়র হকি বিশ্বকাপ খেলতে আসেনি পাকিস্তান। পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার কয়েক দিন পরেই ছিল সেই প্রতিযোগিতা। এ বারও তেমনই হতে পারে। এখন দেখার, এই বিষয়ে এশীয় হকি সংস্থা ভারতীয় হকি সংস্থাকে কোনও নির্দেশ দেয় কি না।