জবাব: বিজয় হজারেতে কল্যাণীর মাঠে হ্যাটট্রিক রসুলের। —ফাইল চিত্র।
প্রথম হ্যাটট্রিকের তৃপ্তি
আগে কখনও হ্যাটট্রিক করিনি তো, তাই এটা বিশেষ দিন। এটা আমার ক্রিকেট কেরিয়ারের একটা মাইলস্টোন। তাই খুব ভাল লাগছে। পরপর তিনটে উইকেট নিয়ে বিপক্ষকেও একটা জোর ধাক্কা দিই। যে ধাক্কাটা ওরা আর সামলাতে পারেনি। আমাদের কাছে ২৩ রানে হেরে যায়। দলের জয়ে এ রকম একটা অবদান রাখতে পারাটাই বেশি আনন্দের। নিজের কৃতিত্বের চেয়েও বেশি।
আইপিএল হতাশা
এ বছর রঞ্জি ট্রফিতে আমি মোটেই খারাপ বোলিং করিনি। ৩৮টা উইকেট নিয়ে সেরা দশ বোলারের মধ্যে ছিলাম। ভারতীয় দলের হয়েও খেলেছি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে, টি-টোয়েন্টি সিরিজে। তা সত্ত্বেও কেন আইপিএলে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি আমাকে নিল না, জানি না। এর কোনও যুক্তি আমি খুঁজে পাইনি। তবে আইপিএল নিলাম ব্যাপারটাই এ রকম। অনেকটা ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে। তাই বাস্তবটা মেনেই নিয়েছি। কিন্তু ওই সময় খুব হতাশ হয়েছিলাম। হতাশায় ভেঙে পড়েছিলাম।
হতাশা কাটল
আইপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি না পাওয়ার হতাশা কিছুটা হলেও কাটল এই হ্যাটট্রিকে। এ রকমই একটা কিছু করতে চাইছিলাম। দেশকে দেখাতে চাইছিলাম, আমি অযোগ্য নই, বা পিছিয়ে যাইনি।
কল্যাণী অসাধারণ
কল্যাণীর পরিবেশ অসাধারণ। এমন একটা পরিবেশে ক্রিকেট খেলতে খুব ভাল লাগে। আমাদের কাশ্মীরে খুব সুন্দর পরিবেশে ক্রিকেট খেলে বড় হয়েছি। অনন্তনাগের পাহাড় ঘেরা মাঠে খেলতাম। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল এখানকার শান্ত পরিবেশে এসে। তবে এখানকার উইকেটটা তেমন স্পিন সহায়ক নয়। বরং সবার জন্যই কিছু না কিছু আছে এখানে। এই উইকেটে টার্ন পাওয়াটা খুব একটা সোজা ছিল না। আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এই চ্যালেঞ্জটা নিতে পারাটা আমার কাছে বড় প্রাপ্তি। এই উইকেটে প্ল্যান করেই নেমেছিলাম। সেই প্ল্যান অনুযায়ী বল করতে পেরেছি বলেই সাফল্য পেলাম। এই সাফল্যটা মনে থাকবে।
ভারতের হারে অবাক
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের অস্ট্রেলীয় স্পিনের সামনে ভেঙে পড়া দেখে বেশ অবাক হয়েছি। পুণের উইকেটটাতে বেশ গোলমেলে ছিল বলে কাগজে পড়েছি। তবে ও’কিফ, লায়নদের বোলিং দেখে আমার মনে হয়নি, ওরা দারুন স্পিনার। ওরা লাইন রেখে যায়। ঠিক জায়গায় বলটা ফেলে। এটা করেই সাফল্য পেয়ে গিয়েছে। বেঙ্গালুরুর প্রথম দিনের খেলা দেখতে পারিনি খেলছিলাম বলে। পরে হাইলাইটসে দেখলাম, লায়নও চিন্নাস্বামীতেও এটাই করে গিয়েছে। ভাল প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে ওরা বোঝাই যাচ্ছে। দুবাইয়ে ভারতের কন্ডিশন তৈরি করে ওদের প্রস্তুতিটাই সবচেয়ে ভাল কাজে লাগছে এখন। এটা আসলে ভারতের পক্ষে দু-তিনটে খারাপ দিন ছাড়া আর কিছু নয়। আমার বিশ্বাস, ওরা ঠিক ফিরে আসবে। বিরাট আর অনিলভাই যে দলের ক্যাপ্টেন ও কোচ, সেই দলের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোটা মোটেই কঠিন কাজ নয়। ওরা দু’জনেই অসাধারণ মোটিভেটর। পুরো দলটাকে মানসিক ভাবে চাঙ্গা করার ব্যাপারে ওরা বিশেষজ্ঞ। ওরা যখন দলে রয়েছে, তখন আমি নিশ্চিত ভারত ঠিক ফর্মে ফিরে আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy