Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Mohammedan Sporting Club

লিগের শুরুতেই হোঁচট খেল মহামেডান

ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে আক্রমণ চালাতে থাকে পাঠচক্র। বারবার মহমেডানের গোলের সামনে পৌঁছে গেলেও, স্রেফ অভিজ্ঞতার অভাবে গোলের লক গেট খুলতে ব্যর্থ হচ্ছিল তারা।

দু'গোল করেও মহামেডানকে জেতাতে পারলেন না ডিকা।ছবি: মহামেডান সৌজন্যে।

দু'গোল করেও মহামেডানকে জেতাতে পারলেন না ডিকা।ছবি: মহামেডান সৌজন্যে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৭ ২০:৫৮
Share: Save:

সাদা-কালোর হটসিটে বসে শুরুটা ভাল হল না বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের। কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচেই মুখ ধাক্কা খেল মহামেডান। সদ্য প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা পাঠচক্রের কাছে ৪-২ গোলে পরাজিত হল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের ছেলেরা।

এ দিন কল্যাণীতে ম্যাচের শুরু থেকেই মহামেডানের বিরুদ্ধে অল আউট অ্যাটাকে যায় পাঠচক্র। ধারে ও ভারে মহামেডান প্রবলতর প্রতিপক্ষ হলেও নিজেদের গুটিয়ে রাখেনি লালকমল ভৌমিক-স্নেহাশিষ চক্রবর্তীদের নিয়ে তৈরি পাঠচক্র। লালকমল-স্নেহাশিস জুটির বড় দলে খেলার অভিজ্ঞতা এবং তরুণ খেলোয়াড়দের লাগাতার দৌঁড় এ দিন নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবটিকে।

আরও পড়ুন: বোল্টের মতো বিদায় বেলায় 'বোল্ড' আরও কয়েকজন

ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে আক্রমণ চালাতে থাকে পাঠচক্র। বারবার মহমেডানের গোলের সামনে পৌঁছে গেলেও, স্রেফ অভিজ্ঞতার অভাবে গোলের লক গেট খুলতে ব্যর্থ হচ্ছিল তারা। অবশেষে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময় বহু কাঙ্খিত গোলটি পেয়ে যায় পাঠচক্র। মনতোষ চাকলাদারের ফ্লিক মহামেডান ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল জালে জড়িয়ে গেলেও গোলটি দেওয়া হয় সানডের নামে। ১-০ গোলে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

আরও পড়ুন: কপিলের সঙ্গে হার্দিক পাণ্ড্যর তুলনা করলেন প্রধান নির্বাচক প্রসাদ

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও দাপট বজায় রাখে পাঠচক্র। দ্বিতীয়ার্ধের ১১ মিনিটে গোল করে পাঠচক্রকে ২-০ গোলের লিড এনে দেয় মনতোষ চাকলাদার। প্রথম ম্যাচেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পরে কার্যত দিশেহারা দেখায় মহামেডানকে। এর পর গোল শোধের মরিয়া চেষ্টা চালালেও মাঝমাঠের ব্যর্থতায় বারবার বল জমা পরে যাচ্ছিল প্রতিপক্ষ দলের পায়ে। অবশেষে সাদা-কালো ব্রিগেডের হয়ে জ্বলে ওঠেন গত আই লিগের সর্বোচ্চ গোল দাতা দীপান্দা ডিকা। একক দক্ষতায় পর পর দু’গোল করে মহামেডানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন এই ক্যামেরুন স্ট্রাইকার। ডিকার দ্বিতীয় গোলটি ছিল বিশ্বমানের। ডান পায়ের বাঁক খাওয়ানো ফ্রি কিককে পাঠচক্র গোলরক্ষকের ডান দিক দিয়ে টপ নেটে ফিনিশ করেন তিনি। তবে, একা ডিকার পক্ষে মহামেডানকে ম্যাচ জেতানো সম্ভব ছিল না। ডিফেন্সের লাগাতার ভুলে গোল হজম করতে হয় সাদা-কালোকে। ম্যাচের ৮৩ ও ৯০ মিনিটে পর পর দু’টি গোল করে মহামেডানের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন বাবুন দাস। এ দিন ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE