রিচা ঘোষ। —ফাইল ছবি
এত কাছে গিয়েও স্বপ্না অধরা রইল রিচাদের। মহিলা টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের দল হেরে যাওয়ায় আফশোস রয়েছে ঠিকই। তবে ফাইনালে ঘরের মেয়ে খেলতে নামায় খুশি শিলিগুড়িবাসী।
এ দিন উইকেটরক্ষক তানিয়া ভাটিয়া চোট পাওয়ায় তাঁর জায়গায় খেলতে নামে রিচা ঘোষ। এ দিন অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ের সামনে প্রথম থেকেই নড়বড়ে ছিল ভারতের ব্যাটিং। কঠিন সময়ে ১৮ বলে ১৮ রান করে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিল রিচা।
এ দিন ফাইনাল দেখানোর ব্যবস্থা হয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের হলঘরে। পরপর আউট হতে শুরু করায় ফাঁকা হতে বসেছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের হলঘর। মনমরা হয়ে পড়েছিলেন সকলেই। সেসময় ব্যাট হাতে রিচা ঘোষ মাঠে নামতেই ফের চনমনে হয়ে ওঠেন দর্শকরা। একই ছবি দেখা গিয়েছে শহরজুড়ে বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠনের অফিসে খেলা দেখার সময়েও। সেমিফাইনালে সুযোগ পায়নি রিচা। অনেকে আশায় ছিলেন, শিলিগুড়ির মেয়ে হয়তো ফাইনালে খেলবে। ভারতীয় দলের পোস্টার, ফ্ল্যাগে ভরে গিয়েছিল শহর। রাস্তার মোড়ে, বিভিন্ন ক্লাবের সামনে রিচার ছবি টাঙানো হয়েছিল।
রিচার বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ সকাল থেকে টিভি খুলে বসেছিলেন। খেলা দেখতে এ দিন তাঁদের বাড়িতেও ছিল ভিড়। তিনি জানান, দল জিতলে উৎসবে মেতে ওঠার আয়োজন করারও ভাবনা ছিল তাঁর। সেটা না হলেও মেয়ের খেলায় খুশি তিনি। বলেন, ‘‘দল জিতলে বেশি খুশি হতাম। তবে মেলবর্নের মতো স্টেডিয়ামে রিচা খেলেছে। তাতে তো আনন্দ হওয়ারও কথা।’’
শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ বলেন, ‘‘বিশ্বকাপে রিচার খেলা ভবিষ্যতে বড় জায়গায় পৌঁছে দেবে।’’ শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব জয়ন্ত ভৌমিকের মতে রিচাকে যে সময় নামান হয়েছে তাতে ভাল খেলেছে সে। তিনি জানান, তবে অস্ট্রেলিয়া যে রানের টার্গেট দিয়েছে তাতে সকলকেই প্রথম থেকে ভাল খেলতে হতো। ভারতীয় দল তা পারেনি। জয়ন্ত বলেন, ‘‘রিচার খেলায় খুশি। তবে দলের হারে খুবই খারাপ লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy