কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ করা নিয়ে জট কাটতেই ম্যাচ সফল করতে উঠে পড়ে লেগেছেন তাঁরা। আগামী ২ এপ্রিল নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই খেলা হবে বলে জানা গিয়েছে। দ্রুত ডার্বির টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। বড় ম্যাচের টিকিট বন্টন সব থেকে কঠিন কাজ বলে মনে করছেন ক্রীড়া পরিষদ কর্তারা। তবে কত পরিমাণ টিকিট পাবে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ তা এখনও পরিষ্কার হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সেটা অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ফের বৈঠকে বসে ঠিক করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আই-লিগের ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচের খেলা প্রায় চূড়ান্তই। সবুজ সঙ্কেতও মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বৈঠকে বসেন শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ সচিব অরূপরতন ঘোষ। সেখানে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তৈরি। শিলিগুড়িতে নামার জন্য গোটা দল মুখিয়ে রয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলতে অরূপবাবুকে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। ক্রীড়া পরিষদ সচিবের বক্তব্য, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের প্রস্তুতিতে দেরি হওয়াতে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তা শুরু হয়ে যাওয়ায় আর কোনও সমস্যা থাকল না। ক্লাবের পক্ষ থেকে ম্যাচের প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরাও কয়েকদিনের মধ্যে সমস্ত তৈরি করে দিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘‘আশা করছি ১৭ মার্চ ফেডারেশন প্রতিনিধিরা ফের পরিদর্শনে শিলিগুড়িতে আসার আগেই তাঁদের জন্য সন্তোষজনক পরিস্থিতি তৈরি করে দিতে পারব।’’
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, মোটামুটি ডার্বির নিয়ম অনুযায়ী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান মোট টিকিটের অর্ধেক করে ভাগ করে নেয়। তারপর নিজেদের তাঁবু থেকে তা বিক্রি করে। এবারে পরিস্থিতি আলাদা। শিলিগুড়িতে খেলা হলে বেশ কিছু টিকিট এখানেও বিক্রি করতে হবে। তা ছাড়া শিলিগুড়িতে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় মোহনবাগান এ বারে তাঁদের কোটার সমস্ত টিকিট নাও নিতে পারে। তবে সবটাই নির্ভর করছে কত টিকিট কলকাতা থেকে বিক্রি হচ্ছে তার উপরে। ক্রীড়া পরিষদ এখন চিন্তায় পড়েছে, ক্রীড়া পরিষদের সদস্যদেরও সকলকে টিকিট দেওয়া যাবে কিনা? ফলে তাঁরা এখন নতুন করে চিন্তা ভাবনা করছেন কাউকেই বিনামূল্যে টিকিট না দেওয়ার ব্যপারে।
এর আগে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণ যুব বিশ্বকাপের জন্য নিয়ে নেওয়া হলে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বিতে ফিরতি লিগে ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচ শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ফেলার কথা বলা হয়। কিন্তু এই মাঠের পরিকাঠামো তৈরি ছিল না। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন মাঠ দেখে কয়েকটি পরিবর্তন ও পরিমার্জন করতে বলেন। তারপরেও কাজ শুরু হতে দেরি হওয়ায় উদ্বেগে ছিলেন ক্রীড়া পরিষদ থেকে সাধারণ ক্রীড়াপ্রেমীরাও। অবশেষে জট কাটায় স্বস্তিতে রাজ্যের ক্রীড়াপ্রেমীরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy