শুক্রবারই পটনা পাইরেটস-এর বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফর্ম করে ম্যাচ ছিনিয়ে এনেছিল বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স।
শনিবারও টিম মালিক অক্ষয় কুমারের সামনে সেই ফর্ম অব্যাহত রাখলেন বঙ্গযোদ্ধারা। তফাৎ এটাই যে পটনার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ বার করে নিয়েছিল কেকে জগদীশের বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স। কিন্তু শনিবার ইউপি যোদ্ধার বিরুদ্ধে পিছিয়ে গিয়েও ম্যাচ ড্র রেখেই ফিরতে হল বঙ্গযোদ্ধাদের। ম্যাচের ফল ২৬-২৬।
প্রথমার্ধে ১১-১৪ পিছিয়ে ছিল সুরজিৎ সিংহের দল। দ্বিতীয়ার্ধে অধিনায়ক সুরজিৎ ও মনিন্দরের আগ্রাসী মেজাজে ১৫-১২ এগিয়ে ছিল বাংলা। জিততে গেলে দরকার ছিল আরও এক পয়েন্ট। ফলে দুই অর্ধ মিলিয়ে ম্যাচের ফল ২৬-২৬। সাংবাদিক সম্মেলনে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স কোচ কেকে জগদীশ বলছিলেন, ‘‘ইউপি যোদ্ধা টুর্নামেন্টে প্রথম নামলেও দলটা বেশ শক্তিশালী। লখনউতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর আমরা ওদের হারিয়েছিলাম এক পয়েন্টের ব্যবধানে। আজ আর সেই এক পয়েন্ট এল না।’’
সুরজিৎ, মনিন্দরদের ম্যাচ দেখতে এ দিন মুম্বই থেকে উড়ে এসেছিলেন টিম মালিক অক্ষয় কুমার। দলের সঙ্গে ওয়ার্ম-আপ করা ছাড়াও পুরো ম্যাচ ভিআইপি আসনে বসে দেখলেন তিনি। উৎসাহও দিলেন দেদার। শেষ পর্যন্ত ড্র ম্যাচ দেখেই ফিরতে তাঁকে।
ইউপি যোদ্ধা টিমে রয়েছে টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি দর পাওয়া খেলোয়াড় নীতিন তোমার। যিনি এই টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা রেইডার। ম্যাচেও দেখা গিয়েছে নীতিন তোমার আক্রমণে ১০ পয়েন্ট তুলে আনলেও, বঙ্গযোদ্ধাদের তুরুপের তাস মনিন্দর সিংহ পরের দিকে আক্রমণে জোর দিয়ে তুলে আনেন ৮ পয়েন্ট।
ম্যাচের শুরুর দিকে এগিয়ে থাকলেও এ দিন পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ৩-৬ পিছিয়ে গিয়েছিল বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স। বঙ্গযোদ্ধারা ম্যাচ শেষ হওয়ার ছয় মিনিট আগে ১৯-১৯ করলেও তার পরে পেন্ডুলামের মতো দুলছিল ম্যাচের ভাগ্য। শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে ২৫ -২৪ এগিয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গযোদ্ধারা। কিন্তু নীতিন তোমারের দাপটেই শেষ পর্যন্ত হার বাঁচায় ইউপি যোদ্ধা।
রবিবার রাত ন’টায় বঙ্গযোদ্ধাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ তামিল থালাইভাস। যে দলের অন্যতম মালিকের নাম সচিন রমেশ তেন্ডুলকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy