কলকাতা
শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৩০
পেন্ডুলামের মতো দুলছে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজ। চেন্নাইয়ের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছিল ভারত। বিশাখাপত্তনমে রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের জোড়া সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে এনেছে কোহালির দল। কটকের সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচের আগে চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন দীপক চাহর। তৃতীয় ওয়ানডেতে কী হবে ভারতের প্রথম এগারো?
লোকেশ রাহুল: দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১০৪ বলে ১০২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন লোকেশ রাহুল। ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে প্রথম ও তৃতীয় টি টোয়েন্টিতে দলের ভরসা হয়ে উঠেছিলেন এই ওপেনার। মুম্বইয়ের তৃতীয় টি টোয়েন্টিতে রাহুল অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছিলেন। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পরে দ্বিতীয় ওয়ানডে-তে রাহুল বিধ্বংসী ফর্মে ধরা দেন।
বিরাট কোহালি (অধিনায়ক): টি টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বোলারদের দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিলেন ভারত অধিনায়ক। হায়দরাবাদের প্রথম টি টোয়েন্টি এবং মুম্বইয়ের সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে ‘কিং কোহালি’কে থামাতে পারেননি ক্যারিবিয়ানরা। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটো ম্যাচে রান পাননি কোহালি। চেন্নাইয়ে তিনি বোল্ড হন মাত্র চার রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে শূন্য রানে ফিরতে হয় তাঁকে। কটকের তৃতীয় ম্যাচে কোহালি কি রানে ফিরবেন? ভারত অধিনায়ক কিন্তু তিনটে ম্যাচেই ব্যর্থ হওয়ার বান্দা নন।
শ্রেয়াস আইয়ার: দেশের প্রাক্তন প্রধান কোচ অনিল কুম্বলে জানিয়েছিলে যে শ্রেয়াস আইয়ারকে চার নম্বরে দেখতে চান তিনি। আর চেন্নাইয়ে চার নম্বরে নেমে শ্রেয়াস আইয়ার নির্ভরতা দিয়েওছিলেন দলকে। কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে শ্রেয়াস আইয়ার মাত্র ৩২ বলে ৫৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। রোহিত-রাহুলের পাশাপাশি শ্রেয়াস আইয়ারের গতিশীল ইনিংস ভারতকে পাহাড়প্রমাণ ৩৮৭ রানে পৌঁছে দেয়।
কেদার যাদব: দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে চেন্নাইতে ৩৫ বলে ৪০ রান করেছেন কেদার যাদব। যা ছয় নম্বরে ভরসা দিয়েছে দলকে। তবে বল হাতে এক ওভারের বেশি দেওয়া যায়নি তাঁকে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ বলে ১৬ রান করেন কেদার যাদব। সেই ম্যাচে অবশ্য কেদার যাদবের বিশেষ কিছু করার ছিল না। তাঁকে খেলানোয় ভারতের মিডল অর্ডার শক্তিশালী হয়েছে। কটকে তাঁর ব্যাটের দিকেও তাকিয়ে থাকবেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
রবীন্দ্র জাডেজা: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে ছিলেন। কিন্তু টেস্টে দারুণ ফর্মে ছিলেন তিনি। ব্যাট হাতেও ভরসা দিতে পারেন দলকে। ফিল্ডিংয়ে তিনি আবার বিশ্বের সেরাদের মধ্যেই পড়েন। জাডেজা দলে থাকলে কোহালির হাতে বিকল্প বাড়ে। কিন্তু চেন্নাইয়ে তাঁর বোলিং কাজে আসেনি। দ্বিতীয় ম্যাচে রান দিয়ে ফেললেও দু’টি উইকেট নেন জাডেজা। কটকে তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের দিকে নজর থাকবে সবার।
মহম্মদ শামি: ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে সিরিজ নির্ণায়ক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলেছিলেন। কেন তাঁর বলের সবাই প্রশংসা করেন, সেটা বুঝিয়ে দেন ওয়াংখেড়ের সেই ম্যাচে। চিপকের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে শামিকে আগুনে ফর্মে পাওয়া যায়নি। আজ তাঁকে পুরনো মেজাজে দেখতে চাইছে দল। বিশাখাপত্তনমের দ্বিতীয় ওয়ানডে চেনা শামির ঝলক দেখা গিয়েছে। তৃতীয় ওয়ানডে-তে কি পুরনো শামি ফিরবেন?
যুজবেন্দ্র চহাল: কুলদীপকে পাশে পেলে চহাল হয়ে ওঠেন ভয়ঙ্কর। ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে চহালকে খেলানো হয়নি। বিশাখাপত্তনমেও তিনি নামেননি। তৃতীয় ম্যাচে শার্দুল ঠাকুরের জায়গায় খেলানো হতে পারে অভিজ্ঞ চহালকে। কারণ কুলদীপ রয়েছেন দারুণ ছন্দে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করতে পারেন চহাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
