দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ওটিস গিবসন।
ভারতের হাতে বিধ্বস্ত হওয়ার কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ওটিস গিবসন। তবে মেনে নিচ্ছেন, ভারত অনেক শক্তিশালী। মঙ্গলবার পোর্ট এলিজাবেথে সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে হারের পরে গিবসন বলেছেন, ‘‘যে কোনও একটা টিমের সেরা তিন ব্যাটসম্যান বাইরে চলে গেলে সেই টিম ঝামেলায় পড়বেই। আর ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে সে রকম হলে তো কথাই নেই। ভারত আমাদের দুর্বলতাগুলো সামনে তুলে এনেছে।’’
গিবসন স্বীকার করে নিচ্ছেন, ভারতের দুই রিস্টস্পিনার এই সিরিজে তাঁর দলের কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছে। কিন্তু পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ এও মনে করেন, আগামী বছর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে কুলদীপ যাদব এবং যুজবেন্দ্র চহাল এতটা ভয়ঙ্কর নাও হতে পারেন। গিবসনের বক্তব্য, ‘‘ভারতীয় দলে দুই বিশ্ব-মানের স্পিনার আছে। ওরা হয়তো বিশ্বের যে কোনও জায়গায় বল ঘোরানোর ক্ষমতা রাখে। কিন্তু বিশ্বকাপে ওরা ভয়ঙ্কর নাও হয়ে উঠতে পারে। আমাদের হাতে এক বছর সময় আছে ওদের জন্য তৈরি হওয়ার। তার উপরে ইংল্যান্ডে বল এতটা ঘুরবে বলেও মনে হয় না।’’
সিরিজ হারের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ কাঠগড়ায় তুলছেন দলের ব্যাটসম্যানদেরই। তিনি মনে করেন, গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যাটসম্যানদের আউট হয়ে যাওয়াটাই হারের কারণ। বিশেষ করে পঞ্চম ওয়ান ডে-তে। ‘‘আমরা যখন ভারতকে ২৭৪ রানে আটকে রাখলাম, তখন ভেবেছিলাম সিরিজ ড্র করার দিকে এগোচ্ছি। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা পারল না। আমাদের দরকার ছিল এমন কয়েক জন ক্রিকেটার, যারা পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদের খেলা বদলে নিতে পারবে। আমাদের হাতে সে রকম ক্রিকেটার থাকলেও তারা কেউ সফল নয়,’’ বলেছেন গিবসন।
পোর্ট এলিজাবেথের ম্যাচ নিয়ে গিবসন আরও বলেন, ‘‘আমরা স্কোরবোর্ডে বিনা উইকেটে ৫০ রান তুলে দিয়েছিলাম। পাওয়ার প্লে-র চার বল বাকি থাকতে যশপ্রীত বুমরা উইকেট তুলে নেয়। বুমরা-ই ওদের সেরা ফাস্ট বোলার। এর পরে আমরা আরও দু’টো উইকেট হারাই। যা আমাদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। হাসিম আমলা চেষ্টা করেছিল ইনিংসটাকে দাঁড় করানোর। কিন্তু যখনই মনে হচ্ছিল, আমরা একটু গুছিয়ে নিয়েছি, তখনই উইকেট পড়তে থাকে।’’
নিজেদের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের তুলনা টেনে এনে গিবসন বলেছেন, ‘‘ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। প্রতিটা ম্যাচে ওদের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেউ না কেউ সেঞ্চুরি করেছে। সেটাই এই সিরিজে দু’টো দলের মধ্যে তফাত হয়ে গেল। প্রথম ম্যাচে ফ্যাফ ডুপ্লেসি সেঞ্চুরি করার পরে আমাদের আর কেউ সেঞ্চুরি পায়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy