Advertisement
E-Paper

নেমারের নতুন ক্লাব এ বার উয়েফার তদন্তের সামনে

এ বার নেমার ও এমবাপে-কে নেওয়ার পিছনে প্যারিস সাঁ জরমঁ ৪০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। যা এফএফপি-র নিয়ম লঙ্ঘন করেই করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উয়েফা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:৩৯
মহড়া: উরুগুয়ে ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে ভেনেজুয়েলার জন্য তৈরি হচ্ছেন মেসি, দি’মারিয়া-রা। ছবি: এএফপি ।

মহড়া: উরুগুয়ে ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে ভেনেজুয়েলার জন্য তৈরি হচ্ছেন মেসি, দি’মারিয়া-রা। ছবি: এএফপি ।

ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে। সংক্ষেপে এফএফপি। ইউরোপের ফুটবল নিয়ামক সংস্থা উয়েফার এই এফএফপি জালেই এ বার আটকাল নেমার-এর নবতম ক্লাব প্যারিস সঁ জরমঁ। উয়েফার দাবি, এ বারের ফুটবল ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নিয়ম লঙ্ঘন করেই ফুটবলার কেনাবেচা করেছে প্যারিস সঁ জরমঁ।

এফএফপি কী?

এক) ক্ষতির পরিমাণ এক মরসুমে কোনও মতেই ১৩ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি হবে না। দুই) তিনটি মরসুমে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কত, তা দেখা হয়। তিন) শেষ দু’টো এবং চলতি মরসুমের আর্থিক বিশ্লেষণ করে লাভ বা ক্ষতির হিসাব করা হয়। চার) প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমন হলে সেই ক্লাবকে ৩৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচে ছাড় দেওয়া হয়।

ইউরোপের ফুটবল ক্লাবগুলোর আয়-ব্যয়ের সমতা রক্ষা করতে ২০১৩ সালে নতুন নিয়ম আনে উয়েফা। উদ্দেশ্য, ফুটবলার কিনতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ দেনার দায়ে ক্লাবগুলো যেন ডুবে না যায়।

কিন্তু এ বার নেমার ও এমবাপে-কে নেওয়ার পিছনে প্যারিস সাঁ জরমঁ ৪০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। যা এফএফপি-র নিয়ম লঙ্ঘন করেই করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উয়েফা। আর তার জেরেই উয়েফার তদন্ত কমিটির চোখ পড়েছে প্যারিসের ক্লাবটির উপর।

এফএফপি-র নিয়ম অনুযায়ী না লাভ, না ক্ষতিতে চলা ক্লাবগুলো এ ক্ষেত্রে ফুটবলার কেনাবেচায় তাদের গত তিন বছরের আয়ের চেয়ে তিন কোটি ইউরো বেশি খরচ করতে পারে।

গত পাঁচ বছর ধরেই প্যারিস সাঁ জরমঁ-এর মালিকানা রয়েছে কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টস ফান্ড নামক সংস্থার হাতে। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে প্যারিস সঁ জরমঁ-এর রোজগার ছিল ৫২.০৯ কোটি ইউরো। লাভ হয় এক কোটি ইউরো।

প্যারিস সঁ জরমঁ-এর উপর তদন্ত প্রসঙ্গে উয়েফা সরকারি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘না লাভ, না ক্ষতিতে চলা ক্লাবগুলোর ফুটবলার কেনাবেচার দিকে সতর্ক নজর রাখার জন্যই এই তদন্ত। আগামী মাসেই ক্লাবগুলোর এ সংক্রান্ত নথিপত্র চাওয়া হবে। কারণ ইউরোপের ফুটবলে আর্থিক ভারসাম্য রক্ষা করাটাই উয়েফার একমাত্র লক্ষ্য’।

যদিও উয়েফার এই বক্তব্য জানার পর নিজেরা হতবাক জানিয়ে প্যারিস সঁ জরমঁ কর্তারাও পাল্টা বলেছেন, ‘‘২০১৭-১৮ মরসুমে ফুটবলার নেওয়ার ক্ষেত্রে সব লেনদেনই হয়েছে উয়েফার এফএফপি মেনেই।’’

গত ২৩ অগস্ট এ ব্যাপারে প্যারিস সঁ জরমঁ কর্তা জাঁ ক্লদ ব্লাঁ ক্লাবের সদর দফতরে আলোচনায় বলেছিলেন উয়েফার এফএফপি বিভাগের কর্তা আন্দ্রেয়া ত্রাভার্সোর সঙ্গে। সেখানে তিনি জানান, বার্সেলোনা থেকে নেমার এবং মোনাকো থেকে এমবাপে-কে দলভুক্ত করায় এফএফপি লঙ্ঘন করেননি তাঁরা।

PSG UEFA FFP investigation Neymar Mbappe transfer Football
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy