আশাবাদী: দেশের তরুণ প্রতিভা নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন দ্রাবিড়। ফাইল চিত্র।
আইপিএলে দলের সংখ্যা বাড়ানো হবে কি না, তানিয়ে কথাবার্তা চলছে। সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ও বর্তমানে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ডিরেক্টর রাহুল দ্রাবিড় মনে করেন, দেশে এত প্রতিভা রয়েছে যে, দল বাড়ানোর কথা ভাবা যেতেই পারে। তিনি মনে করেন, ভারতে এখনও বহু ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা সুযোগের অভাবে নিজেদের তুলে ধরতে পারছেন না। আইপিএল দল বাড়লে তাঁদের জন্য সুযোগের দরজা খুলে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে দ্রাবিড় বলেন, "দেশে প্রতিভার কোনও অভাব নেই। আইপিএলে যদি দল বাড়ানো হয়, তা হলেও প্রতিযোগিতার মান পড়বে না।"
আইপিএল শুরু হওয়ার আগে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার উপরে অনেক বেশি নির্ভর করতে হত ক্রিকেটারদের। রঞ্জি ট্রফিতে সুযোগ না পেলে আর কোনও রাস্তাই খোলা থাকত না। কিন্তু রাহুল তেওটিয়ার উদাহরণ দিয়ে দ্রাবিড় বলেন, "হরিয়ানার হয়ে রঞ্জি ট্রফি দলে সুযোগ পেত না তেওটিয়া। চহাল, মিশ্র ও জয়ন্তের মতো স্পিনার থাকায় ও কোথায় খেলবে? আইপিএল মঞ্চ থেকেই ও উঠে এল। "
দ্রাবিড় মনে করেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না হয়েও সেই পর্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা একমাত্র আইপিএলই তুলে ধরতে পারে। তাঁর কথায়, "কোচ হিসেবে ক্রিকেটার তৈরি করার কাজ আমাদের। কিন্তু একজন ক্রিকেটার তৈরি হয় তার অভিজ্ঞতার সাহায্যে। এই যেমন দেবদত্ত পাড়িকল অনেক কিছু শিখল, বিরাট ও এবিকে পাশে পেয়ে।" আইপিএলের আরও একটি ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন দ্রাবিড়। বিভিন্ন দল তথ্য সংগ্রহ করে কোথায় ভুল হচ্ছে, তা বিশ্লেষণ করে। সেই তথ্য থেকে ক্রিকেটারেরা সহজেই জানতে পারে কোথায় তাঁদের উন্নতি করতে হবে। নটরাজনের উদাহরন দিয়ে দ্রাবিড় বোঝান, "তরুণ বাঁ-হাতি পেসার কিন্তু শুধুমাত্র ইয়র্কারে উন্নতি করে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে গেল। ওর এই উন্নতির নেপথ্যে কোচেদের পরিশ্রম তো রয়েইছে। অবদান আছে ডিজিটাল প্রক্রিয়ারও। নিজের ভিডিয়ো বার বার দেখেই ও বুঝতে পেরেছে, ইয়র্কার ভাল করে রপ্ত করতে পারলে ওর উন্নতি নিশ্চিত।"
দ্রাবিড়কে প্রশ্ন করা হয়, কেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এতটা সফল? ভারতীয় ক্রিকেটের দেওয়ালের ব্যাখ্যা, "মুম্বইয়ের ভিত খুব শক্ত। বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারদের নিয়ে দল তৈরি হয়েছে। তার সঙ্গেই তরুণ প্রতিভার মিশ্রণ ভারসাম্য বাড়িয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রিকেটার তুলে আনার কাজটাও ভাল করে ওরা। তাই এত সফল।"
দ্রাবিড়ের বিশ্বাস, সাদা বলের ক্রিকেটে সব চেয়ে সাফল্য এসেছে চলতি দশকেই। বলেন, "এই দশকেই আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি (২০১১), চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছি (২০১৩), টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ও সেমিফাইনালেও খেলেছি। আমার মতে, সাদা বলের ক্রিকেটে এটাই সেরা দশক ভারতের।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy