ভারতীয় টিমের কোচ হওয়ার দৌড়ে যে তিনি নামবেন, তার ইঙ্গিত আগেই ছিল। এর মধ্যে সোমবার তিনি— রবি শাস্ত্রী, কোচের পদের জন্য সরকারি ভাবে আবেদনপত্র জমা দিলেন। কোহালি-মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের প্রাক্তন টিম ডিরেক্টর এ দিন সে কথা স্বীকারও করেছেন।
সংবাদসংস্থাকে শাস্ত্রী এ দিন বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি প্রধান কোচের পদে আবেদন করেছি। বিজ্ঞাপনে যা যা চাওয়া হয়েছিল সেই সব নথি আমি বোর্ডকে ই-মেল করে দিয়েছি।’’ কোনও প্রেজেন্টেশন বা রোডম্যাপ তৈরি করেছেন কি না এই নিয়ে জানতে চাওয়া হলে শাস্ত্রী বলেন, ‘‘বিসিসিআই যা চেয়েছে সবই পাঠিয়েছি। যদি জানতে চান এ ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী কি না, তা হলে বলব আমার কাজ আবেদন করা। সেটা করেছি। এ ব্যাপারে আর কোনও মন্তব্য করব না।’’
এর আগে ১৮ মাস ভারতের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলেছেন শাস্ত্রী। চলতি বছরে বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টিতে তাঁর চুক্তি শেষ হয়ে যায়। যে ১৮ মাস তাঁর জীবনের অন্যতম স্মরনীয় বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। তবে শাস্ত্রী কোচ হয়ে এলে ওয়ান ডে টিমে অধিনায়ক বদল হবে কি না, তা নিয়ে কিন্তু জল্পনা উড়ছে। দিন কয়েক আগে শাস্ত্রী বলেছিলেন, সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও ভারতের অধিনায়ক হওয়া উচিত কোহালির। ধোনি থাকুক প্লেয়ার হিসেবে। তিনি টিম ডিরেক্টর থাকাকালীন ভারতের উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে। তার মধ্যে আছে ৩-০ অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টিতে হারানো, ইংল্যান্ডে ওয়ান ডে সিরিজ জয়, ২২ বছর পর শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ জেতা, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোম সিরিজে হারানোর মতো সাফল্য। সঙ্গে বিশ্বকাপে ভারতের সেমিফাইনালে শেষ করাও রয়েছে।
তবে শাস্ত্রী ছাড়াও ভারতের কোচ হওয়ার দৌড়ে আছেন আর এক প্রাক্তন কোচ ও বর্তমানে বোর্ডের নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান সন্দীপ পাটিল। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর অজিত ওয়াড়েকর সরে দাঁড়ালে সন্দীপ পাটিল ভারতের কোচের দায়িত্বে এসেছিলেন। তিনি অবশ্য এক বছরও এই দায়িত্বে ছিলেন না। তবে শাস্ত্রী আবেদন করলেও তাঁর সাপোর্ট স্টাফ টিম, সঞ্জয় বাঙ্গার, আর শ্রীধর এবং ভরত অরুণ এখনও সেই পথে হাঁটেননি। এখনও তাঁরা বোর্ডের কাছে কোনও আবেদনপত্র পাঠাননি। বিসিসিআই সুত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে বোর্ড প্রয়োজন অনুযায়ী তাঁদের আগের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy