হুডার ব্যাটে হুঙ্কার
সপ্তাহ দেড়েকের মধ্যেই নজর কেড়েছে— দীপক হুডা। ঝুঁকি নেওয়াতে যে ও কতটা দক্ষ সেটা খুব ভাল করে বুঝতে পারছে এখন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আর দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। বেশি চোখে পড়েছে বড় শট মারার সময়টা। দারুণ ক্রিকেট মস্তিষ্ক। দর্শকদেরও নিশ্চয়ই এ বার ওর উপর প্রত্যাশা থাকবে। থাকতেই পারে। মনে হচ্ছে রাজস্থান রয়্যালস ফের একটা দুরন্ত প্রতিভা তুলে আনল।
প্রথম দু’ম্যাচে হুডা যখন ছ’নম্বরে নামল, টিমের অবস্থা সুবিধের ছিল না। দুটো ম্যাচেই সামনে থেকে লড়াই করল। ছক্কার নতুন উপায়ই আবিষ্কার করে ফেলল। ভাল বোলারের খ্যাতিও তাহিরকে বাঁচাতে পারেনি। আর তৃতীয় ম্যাচে চারটে বল খেলে দুটোকে পাঠাল মাঠের বাইরে।
রাজস্থান ধুমধাড়াক্কা ব্যাপার এড়িয়ে চলে। শেন ওয়াটসনের মতো মারকুটেও একই গিয়ারে ব্যাট করে না। রাহুল দ্রাবিড়ের তত্ত্বে বিশ্বাসী দলটায় হিংস্রতার থেকেও পাওয়া যায় এমন ক্রিকেটারদের, যাদের বিশেষ দক্ষতা আছে। সেই কারণেই হুডার উপর আমাদের আরও নজর রাখতে হবে। ছেলেটার মধ্যে ছয় মারার ক্ষমতার চেয়েও নিশ্চয়ই আরও বেশি কিছু আছে।
রয়্যালস বোকা ভাবলে চলবে না। গত বছরই সস্তায় হুডাকে নিয়েছিল। তবে ২০১৪তে ওরা ওকে পর্দার আড়ালেই রেখেছিল। এর মধ্যে আশ্চর্যের কিছু নেই। কোনও প্লেয়ার সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে রয়ালস একটু বেশি সময়ই নেয়। হুডা নিশ্চয়ই এই পর্যবেক্ষণের সময়টা উতরে গিয়েছে। এখন রয়্যালস আর হুডা দু’জনই দাঁড়িয়ে গিয়েছে।
হুডা নিজস্ব পদ্ধতিতে বিশ্বাসী। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শান্ত ভাবভঙ্গিও আছে ওর। পাশাপাশি ওর অফ স্পিনও একটা ভূমিকা নিতে পারে। কেরিয়ারের গোড়ার দিক তবু বলাই যায় এ রকম প্লেয়ার রোজ দেখা যায় না। অক্ষর পটেল, সন্দীপ শর্মা, কে রাহুল, সঞ্জু স্যামসন, শ্রেয়াস আইয়ার, সুচিত, হুডা— আমি নিশ্চিত এ রকম আরও অনেকে আগামী দিনে নজর কেড়ে নেবে। এরা সবাই খুব ভাল ফিল্ডারও। তার উপর এখনও ২৩ পেরোয়নি কেউ। তরুণ প্রতিভা উঠে আসার এর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy