রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ছবি: এএফপি।
সোমবারই আইপিএল-এর জন্য কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। যুবরাজ সিংহ-অ্যারন ফিঞ্চের মতো হাইপ্রোফাইল ক্রিকেটাররা থাকলেও কোচ বীরেন্দ্র সহবাগের ইচ্ছেতেই অধিনায়ক বাছা হয় অশ্বিনকে।
কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়ে অশ্বিন খুশি হলেও আইপিএলকে জাতীয় দলে ফেরার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখতে নারাজ অশ্বিন।
পিটিআইকে এই তারকা বোলার বলেন, “আইপিএলকে ভারতীয় দলে ফেরার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আমি দেখছি না। প্রতি বছর যে মানসিকতার সঙ্গে আইপিএল-এর মঞ্চে নামি সেই মানসিকতা নিয়েই এই বছরও খেলব। তবে, এই মরসুমে আমার উপর বড় দায়িত্ব রয়েছে এবং আমি সেই চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি। এ ছাড়া আর কোনও কিছুই ভাবছি না। যদি ভারতীয় দলে ফেরার হয় তা হলে নিশ্চয়ই ফিরব।”
আরও পড়ুন: চমক দিতে চান পঞ্জাব অধিনায়ক অশ্বিন
আরও পড়ুন: অধিনায়কের নাম ঘোষণা করল প্রীতি জিন্টার দল
২০১৭ সালের জুলাইয়ে শেষ বার ভারতের হয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলেছিলেন অশ্বিন। এর পর যুজবেন্দ্র চহাল এবং কুলদীপ যাদবের একের পর এক ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্সে আর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ফেরা হয়নি অশ্বিনের। ২০১৯ বিশ্বকাপেও ভারতীয় দলে অশ্বিনের জায়গা হবে কি না, সেই বিষয়ে সন্ধিহান দেশের ক্রীড়া মহল।
তবে, অশ্বিন মুখে না বললেও এই আইপিএল-এও তাঁর পারফরম্যান্স যে জাতীয় নির্বাচকদের নজরে থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।
অন্য দিকে, এই আইপিএলে অশ্বিনের কাছে চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে ক্রিস গেইল-অ্যারন ফিঞ্চের মতো তারকা বিদেশি প্লেয়ারদের সামলানো এবং গোটা দলকে এক সুতোয়া গাঁথা। আইপিএল-এর দীর্ঘ ইতিহাস বলছে যে অধিনায়ক গোটা দলকে সঙ্ঘবদ্ধ রেখে একটি পরিবার হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল সেই দলই সাফল্য পেয়েছে।
অশ্বিন নিজেও বিশ্বাস করেন তিনি পারবেন গোটা দলকে একটি পরিবার হিসেবে গড়ে তুলতে।
তিনি বলেন,“প্রায় দশ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে মনে হয় না দলের সিনিয়ার প্লেয়ারদের সামলাতে সমস্যা হবে। আমি তাঁদেরই এক জন। আমাদের দল যথেষ্ট শক্তিশালী। আশা করি প্রতিটি ক্রিকেটারই দলের সাফল্যের জন্য নিজেদের সেরাটা দেবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy