Advertisement
E-Paper

মাঠে না থাকাই কঠিন: পূজারা

এ পর্যন্ত ৪৯ টেস্টে চার হাজার রানের কাছাকাছি (৩৯৬৬) করে ফেলেছেন পূজারা। এক ডজন সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর মুকুটে। গলে সদ্যসমাপ্ত টেস্টেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৭ ০৪:১০
টিম হোটেলে প্লে স্টেশন-এ মজে বিরাট কোহালিরা। ছবি: টুইটার

টিম হোটেলে প্লে স্টেশন-এ মজে বিরাট কোহালিরা। ছবি: টুইটার

এখন আর আগের মতো কড়া নন তাঁর বাবা। ৫০তম টেস্টের সামনে দাঁড়িয়ে এখন সে রকমই মনে হচ্ছে চেতেশ্বর পূজারার।

বিরাট কোহালির টেস্ট দলের ‘শ্রী নির্ভরযোগ্য’র বাবা, যিনি আবার তাঁর প্রথম কোচও, আর আগের মতো ছেলেকে শাসনে রাখেন না বলে জানালেন পূজারা। ছেলের ৫০ টেস্ট হতে চলল বলেই কি? পূজারা বলছেন, ‘‘আমার বাবা বরাবরই আমার সবচেয়ে ভাল সমালোচক। আমার সবচেয়ে কড়া নিন্দাও উনিই করেন বরাবর। কিন্তু এখন নিজেদের মধ্যে আমরা একটা বোঝাপড়া করে নিয়েছি। এখন আমাদের মধ্যে যাই কথা হোক না কেন, তার একটা শেষ থাকে। বাবা এখন আর আগের মতো আর কড়া নেই।’’

এ পর্যন্ত ৪৯ টেস্টে চার হাজার রানের কাছাকাছি (৩৯৬৬) করে ফেলেছেন পূজারা। এক ডজন সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর মুকুটে। গলে সদ্যসমাপ্ত টেস্টেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। ভারতীয় টেস্ট দলে ক্রমশ নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠা পূজারা তাঁর ৪৯ টেস্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, ‘‘অসাধারণ একটা সফর। দেশের হয়ে পঞ্চাশতম টেস্ট খেলাটা আমার কাছে গর্বের। এই সময়ে ওঠা-পড়া অনেক দেখেছি। কিন্তু নিজের সাম্প্রতিক ফর্মের পরে এ বার এই টেস্টে কিছু ভাল রান করতে চাই।’’

দু’বছর আগে পর্যন্ত পর্যন্ত পূজারার ক্রিকেট জীবনে নানা বাধা এসেছে। বিশেষ করে তাঁর হাঁটুর চোট তাঁকে যথেষ্ট সমস্যায় ফেলেছিল। সেই সময়ের কথা মনে করে পূজারা বলেন, ‘‘চোট নিয়ে মাঠের বাইরে বসে থাকা আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল। হাঁটুর চোটের জন্য ছ’মাস ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হয়েছিল। ২০১১-য় ফের ছ’মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল আমাকে। প্রায় এক বছর আমি খেলতেই পারিনি। এই সময়টা আমার খুবই খারাপ গিয়েছে। তবে এটাই ভাল যে এখন খারাপ সময়টা কাটিয়ে আসতে পেরেছি।’’

এই শ্রীলঙ্কাতেই সেঞ্চুরি করে তাঁর প্রত্যাবর্তন। তাই শ্রীলঙ্কা তাঁর ক্রিকেট জীবনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সে কথা স্বীকারও করেন তিনি। বলেন, ‘‘২০১৫-য় এখানে সেঞ্চুরি (১৪৫) করে যখন ফিরে আসি, সবকিছু যেন পাল্টে যায়। তার পরে দেশে ফিরে এসে ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভাল রান পেয়েছিলাম। ফলে আত্মবিশ্বাসটাও পেয়ে যাই।’’ রাহুল দ্রাবিড়ের সাহায্যের কথাও বলেন তিনি। বলেন, ‘‘রাহুল ভাই আমাকে বলেছিলেন, আমার টেকনিকে কোনও গলদ নেই। যে ভাবে খেলছ, খেলে যাও। রাহুল ভাইয়ের পরামর্শেই অনেক পরিশ্রম করি। নিজের উপর বিশ্বাসও ছিল। এ ভাবেই ফিরে আসি আমি।’’

Cricket Cheteshwar Pujara Team India চেতেশ্বর পূজারা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy