মহেন্দ্র সিংহ ধোনি যখন সিরিজ জয়ের যুদ্ধের টসটা করতে যাচ্ছেন, তখনই থ্রো-ডাউন করানো সতীর্থকে রোহিত শর্মা বলে দিয়েছিলেন, দিনটা তাঁদের হবে। সিরিজে তখনও পর্যন্ত বড় রান পাননি। তবু আত্মবিশ্বাসটা হারাননি ভারতীয় ওপেনার। এবং বিশাখাপত্তনমের স্লো উইকেটে দারুণ ব্যাট করে টিমের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন। প্রথমে অজিঙ্ক রাহানের সঙ্গে ৪০ রানের ওপেনিং জুটি। তার পরে বিরাট কোহালিকে নিয়ে প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ ৭৯ রান যোগ করা। তার সঙ্গে যোগ করতে হবে, ৪৬ রানে ব্যাট করার সময় পেশিতে চোট।
১৯০ রানে শেষ ম্যাচ ও সিরিজ জিতে উঠে ভারতীয় বোর্ডের ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোহিত শর্মা বললেন টিমের জয় নিয়ে, নিজের ফর্ম নিয়েও। বললেন, ‘‘সিরিজ জেতা সব সময় দারুণ ভাল ব্যাপার। আমাদের লক্ষ্য ছিল ধারাবাহিক ভাল করা। টেস্ট সিরিজ ৩-০ জেতার পর ওয়ান ডে সিরিজে ৩-২ জয়। হ্যাঁ, কিছু কঠিন মুহূর্তের সামনে পড়েছিল টিম। কিন্তু ছেলেরা যে ভাবে পাল্টা লড়াই করেছে, তাতে আমাদের টিমের চরিত্রটা পরিষ্কার ফুটে উঠেছে।’’
রোহিত মনে করেন, দলগত ভাল পারফরম্যান্সের জোরেই শেষ ম্যাচ এতটা কর্তৃত্ব রেখে জিতেছে ভারত। ‘‘দুটো ম্যাচ হেরে গিয়েছিলাম, যেটা আমরা কখনওই চাইনি। জানতাম যে, নিউজিল্যান্ড খুব ভাল টিম। বিশেষ করে ওয়ান ডে-তে ওরা ভাল করে। জানতাম কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে আর সেটার মোকাবিলাও দারুণ ভাবে করেছে টিম। দুটো হারের পর ফিরে দাঁড়ানো দরকার ছিল আর শনিবার ঠিক সেটাই করেছি। আমরা একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিলাম। সবাই সবার কাজটা খুব ভাল করে করেছে। অমিত মিশ্র যা বল করল, তাতে ওর প্রশংসা না করে থাকা যায় না। গোটা সিরিজেই ও ধারাবাহিক ভাল বল করেছে,’’ বলেছেন রোহিত।
বিশাখাপত্তনম ম্যাচের আগে তিনি নিজে ধারাবাহিক ভাবে অল্প রানে আউট হয়ে যাচ্ছিলেন। সেই প্রসঙ্গে রোহিত বলেছেন, ‘‘আমি শুরুটা ভাল করছিলাম। কিন্তু কুড়ি বলের বেশি খেলতে পারছিলাম না। টপ অর্ডারে আমার কাজটা টিমের প্রেক্ষিতে খুব জরুরি। আমার যতক্ষণ সম্ভব ব্যাট করাটা টিমের খুব দরকার। প্রতি বার সেটাই করতে চাই। প্রথম চারটে ম্যাচে নিজের ব্যাটিং নিয়ে হতাশ ছিলাম। তবে ফাইনালে বড় রান করে ভাল লাগছে।’’
শনিবারের উইকেট নিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘‘উইকেট একটু চটচটে ছিল বলে বল ব্যাটে আসছিল না। বলটা আসার অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। এটার সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের মানিয়ে নিতেই হবে। বিশাখাপত্তনমে অনেক ম্যাচ খেলেছি তাই আমরা জানতাম ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে আমাদের কী করতে হবে।’’ সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘ম্যাচের আগের রাতে এটা নিয়ে একটা মিটিং হয়েছিল টিমে। উইকেটের মোকাবিলা কী করে করতে হবে, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ছোট ছোট জুটি গড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শেষ দিকে কেদার যাদব আর অক্ষর পটেলের পার্টনারশিপটা খুব জরুরি ছিল। ওটা না থাকলে বড় রানের কুশনটা আমরা পেতাম না। উইকেটটা সহজ ছিল না। অনেক কষ্টে রান তুলতে হয়েছে।’’