Advertisement
E-Paper

স্যাম কারেন হতেই পারতেন বিরাটের সতীর্থ

বোলিংয়ের চেয়েও স্যামের ব্যাটের হাত নাকি বেশি ভাল। তাই বাঁ-হাতি পেসার স্যামের সুইং খেয়াল রাখতে তো হবেই। ব্যাটসম্যান স্যাম কারেনকেও হালকা ভাবে নেওয়া মুশকিলের হয়ে উঠতেই পারে!

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৮ ১৫:৪২
সারে কাউন্টিতে স্যামের সঙ্গেই খেলার কথা ছিল বিরাট কোহালির। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।

সারে কাউন্টিতে স্যামের সঙ্গেই খেলার কথা ছিল বিরাট কোহালির। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।

এজবাস্টন টেস্টে চার উইকেট নেওয়া বছর কুড়ির স্যাম কারেন কে জানেন? জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার কেভিন কারেনের ছেলে। এবং ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা টম কারেনের ভাই। টম কারেন অবশ্য মাস কয়েক আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে আইপিএলেও খেলে গিয়েছেন।

কেভিন কারেন ১৯৮৩ সালের ট্রানব্রিজ ওয়েলসে প্রুডেনশিয়াল বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে তিন উইকেট নিয়েছিলেন শুরুতে। পরে ব্যাট হাতেও করে যান ৭৩। সেই ম্যাচ যদিও ক্রিকেট ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে উঠেছে কপিল দেবের অধিনায়কোচিত ১৭৫ রানের জন্য। ১১ ম্যাচের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে এই তিন উইকেট ও অর্ধশতরানই ছিল কেভিনে বলে-ব্যাটে সেরা পারফরম্যান্স।

বাবা কেভিন জিম্বাবায়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার। কিন্তু দুই ভাই খেলেন ইংল্যান্ডের সারে কাউন্টিতে। সেখান থেকেই জাতীয় দলে চলে আসা। এর নেপথ্যে ভূমিকা রয়েছে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যালান ল্যাম্বের। তিনি ছিলেন কেভিনের বন্ধু। দু’জনে একসঙ্গে খেলতেন নর্দাম্পটনশায়ারে। ম্যাচের সময় সীমানার বাইরে খেলতেন কারেন-ভাইরা। কেভিনকে বলতেন ল্যাম্ব, ছেলেরা ছাড়িয়ে যাবে তোমাকে। এজবাস্টনে স্যামের বোলিং দেখে তাই হাসছেন ল্যাম্ব। বলেছেন, “আমি তাহলে ভুল বলিনি কারেনকে।”

স্যামের জীবন অবশ্য খুব একটা মসৃণ পথে এগোয়নি। ২০১২ সালে জগিং করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় কেভিনের। শোকগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ান ল্যাম্ব। টম আগেই পড়াশোনা করছিলেন ইংল্যান্ডে। স্যাম ও বেন, এই দুই ভাইকেও নিয়ে আসেন ল্যাম্ব। শুরু হয় ক্রিকেট-সাধনা। ছোট থেকেই লড়াকু ছিলেন স্যাম। দাদা টমের সঙ্গে চলত বাইশ গজে ব্যাট-বলের যুদ্ধ। সেই দাদা ইংল্যান্ডের হয়ে খেলে ফেলায় জেদ আরও বেড়ে গিয়েছিল স্যামের।

উড়ছেন স্যাম কারেন। এজবাস্টনে। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।

এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের ১০০০তম টেস্টে অবশেষে নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন তিনি। ভারতের শুরুর তিন উইকেটই তাঁর। ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্টে কোনও ইনিংসে চার উইকেট নেওয়ার তালিকায় কনিষ্ঠতম। ১৭ বছর ৪০ দিন বয়সে সারের হয়ে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছিলেন। সেই ম্যাচেই প্রথম ইনিংসে নেন পাঁচ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে সপ্তম কনিষ্ঠ হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক ঘটিয়েছিলেন কয়েক সপ্তাহ আগে। প্রতিভার ঝলক তখনই ধরা পড়েছিল।

আরও পড়ুন: শতরানের পর অনুষ্কার উদ্দেশে কী করলেন বিরাট

ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ও সারের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট অ্যালেক স্টুয়ার্ট বলেছেন, ১৭ বছর বয়সে স্যাম কারেনের মতো ক্রিকেট-প্রতিভা ইংল্যান্ডের কারওর মধ্যে তিনি দেখেননি। স্যামের মধ্যে আদর্শ অলরাউন্ডার হওয়ার গুণও দেখছে ব্রিটিশ ক্রিকেটমহল। অ্যালেক স্টুয়ার্ট থেকে অ্যালান ল্যাম্ব, প্রত্যেকেই বলছেন তাঁর ব্যাটিং প্রতিভার কথা। ঘনিষ্ঠদের মতে, বোলিংয়ের চেয়েও স্যামের ব্যাটের হাত নাকি বেশি ভাল। যা দাঁড়াচ্ছে, বাঁ-হাতি পেসার স্যামের সুইং খেয়াল রাখতে তো হবেই। ব্যাটসম্যান স্যাম কারেনকেও হালকা ভাবে নেওয়া মুশকিলের হয়ে উঠতেই পারে!

মজার হল, বিরাট কোহালি ও স্যাম কারেনের একে অন্যের বিরুদ্ধে নয়, পাশাপাশি একই দলের হয়ে খেলার কথা ছিল। সারের হয়ে কাউন্টি খেলতে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন কোহালি। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে কাঁধের চোটের জন্য কাউন্টি ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন ভারত অধিনায়ক। ফলে, নেটে স্যামকে খেলার সুযোগ ঘটনি কোহালির। বিরাটের সতীর্থও হতে পারেননি স্যাম কারেন!

আরও পড়ুন: সচিনের ‘সেঞ্চুরি’ চান আজহার, মন্ত্রমুগ্ধ ইঞ্জিনিয়ারও​

Cricket Cricketer Sam Curran Virat Kohli
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy