ফাইল চিত্র।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বিচারে বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। জন্মদিনের সকালে খবরটা পাওয়ার পর থেকে যেন ঘোরের মধ্যে রয়েছেন সন্দেশ জিঙ্ঘন। দুপুরে বাছাই করা কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন এই মুহূর্তে ভারতীয় রক্ষণের অন্যতম ভরসা।
জন্মদিনেই বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হওয়ার অনুভূতি কেমন? আপ্লুত সন্দেশের কথায়, “বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছি জানার পর থেকেই মনে হচ্ছে, পুরো ব্যাপারটাই স্বপ্নের মতো। আমার জন্মদিনের সেরা উপহার।” কেন? এটিকে-মোহনবাগান তারকা বললেন, “ভাবতেই পারিনি এআইএফএফ আমাকে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করবে। দারুণ আনন্দ হচ্ছে।” চোটের কারণে ২০১৯-’২০ মরসুমে মাঠের বাইরেই অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন সন্দেশ। সুস্থ হয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন তিনি। সপ্তম আইএসএলের ফাইনালে এটিকে-মোহনবাগান ওঠার নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। কতটা কঠিন ছিল মাঠে ফেরার লড়াই? এই মুহূর্তে ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার বলছিলেন, “গত বছর জন্মদিনের দিন আমি রাত ৩.৪৫-এ ঘুম থেকে উঠেছিলাম। চারটে থেকে অনুশীলন শুরু করেছিলাম। নিজের কাছেই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, মাঠে নামার মতো যত দিন না সুস্থ হচ্ছি, অন্য কোনও কিছু নিয়ে ভাবব না।” তিনি আরও বলেন, “কাজটা কঠিন হলেও নিজেকে সব সময় উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করতাম। নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল, আমি মাঠে ফিরবই।”
সন্দেশ উচ্ছ্বসিত জাতীয় দলের কোচ ইগর স্তিমাচকে নিয়েও। বললেন, “ইগর নিজেও ডিফেন্ডার ছিলেন। বিশ্বকাপ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মতো সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলেছেন। ওঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। ইগরের পরামর্শেই আমার খেলার অনেক উন্নতি হয়েছে।”
বিশ্বকাপ ও এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে পয়েন্ট টেবলে তিন নম্বরে শেষ করে তৃতীয় পর্যায়ের ছাড়পত্র পেয়েছে ভারতীয় দল। এ বার সন্দেশের লক্ষ্য ২০২৩ সালে চিনে এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy