সেন্ট লুসিয়ার সুন্দর দ্বীপে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটা টেস্ট হতে চলেছে। অনিল কুম্বলে যে ছবিটা টুইট করেছে সেটা দেখেই মনে হচ্ছিল, ওখানে চলে যাই। কিন্তু সেটা কী করে হবে!
মনে হয় না তৃতীয় টেস্টে ভারতীয় দলে কোনও পরিবর্তন হবে। শেষ দুটো টেস্ট ম্যাচের দশ দিনের মধ্যে ন’দিন বিরাট কোহালিরা কর্তৃত্ব রেখে গিয়েছে। তাই ওদের আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কোনও কারণ নেই। আমি শুধু একটা কথা বলব। উমেশ যাদবকে এ বার অ্যাটাকিং বোলার হিসেবে ব্যবহার করা হোক। কারণ উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা ওর আছে। অমিত মিশ্ররও পিঠ চাপড়ে দেওয়া দরকার। কারণ ও ভাল বল করলেও খুব সাফল্য পায়নি। ওকে আর একটু ধৈর্য ধরতে হবে। উইকেট নিশ্চিত আসবে। বিরাটকে বলব আরও একটা জিনিস দেখতে। যখন ডেথ বোলাররা বল করছে, তখন দু’দিক থেকেই যেন চাপ ধরে রাখা যায়।
যাই হোক, সবার মাথায় এখন একটাই প্রশ্ন— ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ বার কী করবে? ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর পাকিস্তান এমন দুটো দেশ, হালফিলে যারা কখনও ঠান্ডা তো কখনও গরম। লর্ডসে জেতার পরে পাকিস্তান যেমন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরপর দুটো টেস্ট হারল। এখন প্রশ্ন হল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থাও কি তাই হবে?
জামাইকা টেস্টের শেষ দিন ওদের পারফরম্যান্স অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে চাপের মুখে তরুণরা যে ভাবে জ্বলে উঠল। এ সব প্লেয়ারদের কাছে টেস্ট ক্রিকেট এখনও নতুন জিনিস। তাই শেষ টেস্টের পারফরম্যান্স ওদের আরও চাগিয়ে তুলবে। টপ অর্ডারে ওরা তরুণ ব্যাটসম্যান রসটন চেজকে নিয়েছে। দুটো টেস্টে চেজের ব্যাটিং দেখে ওদের মনে আশা জাগার কথা। জামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেটা ভাল করেছে সেটা হল আগে ব্যাট করা। চাপ মোকাবিলা করতে পারার এটাই অন্যতম কারণ। কিন্তু ওদের নিজেদের মনে আর গোটা বিশ্বের মনে যদি এই বিশ্বাসটা গেঁথে দিতে হয় যে ওয়েস্ট ইন্ডিজও পারে, তা হলে জামাইকার পারফরম্যান্স সেন্ট লুসিয়ায় আবার দেখাতে হবে।
দ্বিতীয় প্রশ্নটা হল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোয়াডে কি কুড়িটা উইকেট নেওয়ার মতো বোলার আছে? শ্যানন গেব্রিয়েলের বলে গতি আছে কিন্তু ওকে উইকেট নেওয়ার মতো আরও ডেলিভারি করতে হবে। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, ব্যাটসম্যানদের আরও খেলতে বাধ্য করতে হবে। যাই হোক, দ্বিতীয় সিমার ওদের দরকার। কারণ তরুণ মিগুয়েল কামিন্স এই স্তরের জন্য তৈরি নয়। আর এক তরুণ আলজারি জোসেফকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত।