পন্টিংয়ের ক্লাসে হার্দিক পাণ্ড্য। শুক্রবার মুম্বইয়ে। ছবি: পিটিআই।
একটা দল গত তিন বারের মধ্যে দু’বার চ্যাম্পিয়ন। এ দিন ওরলির উদ্বোধন মঞ্চে সেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা নিজেদের জিম্মায় থাকা আইপিএল ট্রফিটা বাকি সাত ক্যাপ্টেনের সামনে রেখে ছুড়ে দিলেন চ্যালেঞ্জ। শনিবার উদ্বোধনী ম্যাচে আর একটা দল এ বারই ভূমিষ্ঠ হয়েছে আইপিএলের পৃথিবীতে।
এত অবধি পড়ে মনে হতেই পারে সাফল্য বিচার করলে এ তো ডেভিড ভার্সাস গোলিয়াথ!
আর ভুলটা সেখানেই। রাইজিং পুণে সুপার জায়ান্টসের কর্তারা ডেভিড-গোলিয়াথ শুনেই বললেন, ‘‘লড়াইয়ে তো ডেভিডই জিতেছিল। তাই না?’’
এক দিকে যদি থাকেন কায়রন পোলার্ড, লেন্ডল সিমন্স, জস বাটলার, জসপ্রীত বুমরাহরা তো অন্য দিকে ধোনি, অশ্বিন, পিটারসেন, স্টিভ স্মিথ, দু’প্লেসিদের পেন্টাগনাল ক্রিকেট মস্তিষ্ক। লড়াই তাই সেয়ানে সেয়ানে।
কী রকম? সকালবেলা নেটে মেজাজে ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন মুম্বইয়ের লেন্ডল সিমন্স। ঘাড় ঘুরিয়ে তা এক বার দেখলেন স্টিভ স্মিথ। বিকেলেই টিম হোটেলে ডেকে নিলেন ব্যাটের সাপ্লায়ার আশরফকে। আবদার— ব্যাটটা একেবারে নিখুঁত করে দাও। শনিবার থেকে ওটাই তো অস্ত্র।
ওয়াংখেড়েতে বিপক্ষের লেন্ডল সিমন্স এক সপ্তাহ আগেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছুটি করে দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারতকে। পুণের টিমে ধোনির প্রধান স্পিনার অশ্বিন কি সে কথা মনে রেখেছেন?
পুণের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রসঙ্গ উঠেছিল বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়া, শিশির ফ্যাক্টর আর নো বলটার। অশ্বিন বলে দিলেন, ‘‘আমার পোষা কুকুরটার হিট স্ট্রোক হয়েছিল। তাই তিন-চার দিন কাগজ পড়িনি। জানি না কে কী বলেছে। একটা নো বলের জন্য আমি ভিলেন হতে পারি না।’’ সঙ্গে বললেন, ‘‘কেপি কিন্তু মেজাজে আজ নেটে বল মারছিল। আমরা কনফিডেন্ট।’’ যার পাল্টা দিয়ে রাখলেন মুম্বই বোলিং কোচ শেন বন্ড। বলে গেলেন, ‘‘মালিঙ্গা নেই। কিন্তু বুমরাহ তো রয়েছে। কী রকম ফর্মে রয়েছে বলুন।’’
যা খবর, ওয়াংখেড়ের পিচে বল পড়ে ব্যাটে আসবে। বরাবরের মতো স্ট্রোক প্লেয়ারদের সুবিধা। ফলে শনিবার আইপিএলের প্রথম ম্যাচে মুম্বই-পুণের মহারাষ্ট্র ডার্বিতে লড়াইটা সেই ব্যাটসম্যান ভার্সাস ব্যাটসম্যান।
এ দিন সকালে দশটা থেকে টানা আড়াই ঘণ্টা নেট করল স্টিভ স্মিথদের পুণে। যেখানে ধোনির হেলিকপ্টার শট থেকে পিটারসেনের বিশাল ছক্কা, সবই দেখা গেল। তিন ঘণ্টা নেটে রগড়ালেন রোহিত, হরভজনরাও। দু’জনেই মুখিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ফের স্বমূর্তি ধারণ করতে। দু’দলের নেট প্র্যাকটিসে যা আভাস, মুম্বইয়ের চার বিদেশি হতে পারেন সিমন্স, পোলার্ড, জস বাটলার এবং কিউয়ি বোলার ম্যাকক্লেনাঘান।
আর মুম্বই বধ করতে পুণের চার বিদেশি দু’প্লেসি, স্মিথ, কেপি, মিচেল মার্শ। স্যাটার্ডে নাইটের মহারাষ্ট্র ডার্বিতে তাই চার-ছক্কার বন্যা দেখতে ওয়াংখেড়ে ভরে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গিয়েছে।
স্লো বাউন্সার আইপিএল থেকেই দেখেছিল বিশ্ব। ক্যারম, নাকল বলও দেখেছে আইপিএল। পুণের ভরসা রবিচন্দ্রন অশ্বিন কি কোনও শক বল এ বার ফেলবেন? শুনে হাসছেন ভারতীয় স্পিনার। রসিকতা করে বলছেন, ‘‘ওয়াইডের সীমাটা আরও বাড়িয়ে দিলে হয় না? সেটাও তো নতুনই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy