Advertisement
E-Paper

মেয়ে বলে এই শাস্তি, তোপ ক্ষুব্ধ সেরিনার

আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়াম উপচে পড়েছিল একটা দৃশ্য দেখার জন্য। ফাইনালে নেয়োমি ওসাকাকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন ট্রফিটা দু’হাতে ধরে আছেন সেরিনা উইলিয়ামস

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:২৮
চেয়ার আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কাতর্কি। বিরক্তিতে র‌্যাকেট ছুড়ে ফেলছেন সেরিনা। এএফপি

চেয়ার আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কাতর্কি। বিরক্তিতে র‌্যাকেট ছুড়ে ফেলছেন সেরিনা। এএফপি

আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়াম উপচে পড়েছিল একটা দৃশ্য দেখার জন্য। ফাইনালে নেয়োমি ওসাকাকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন ট্রফিটা দু’হাতে ধরে আছেন সেরিনা উইলিয়ামস। সে দৃশ্য তো দেখা হয়নি, উল্টে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই সম্পূর্ণ পিছনে চলে যায় সেরিনা বনাম চেয়ার আম্পায়ারের ঝামেলায়।

ফাইনালের স্কোরকার্ড বলছে, ৬-২, ৬-৪ ফলে সেরিনাকে হারিয়ে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে নিয়েছেন জাপানের ওসাকা। কিন্তু এই স্কোরকার্ড বলছে না, ৭৯ মিনিটের এই ম্যাচে কত নাটকীয়তা লুকিয়ে আছে। যে নাটক অবশ্য একজনকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে— সেরিনা।

ম্যাচ চলাকালীন ক্রুদ্ধ সেরিনা ‘চোর’ বলে বসেন চেয়ার আম্পায়ার কার্লোস র‌্যামোসকে। যে কারণে শাস্তি পেতে হয় সর্বকালের অন্যতম সেরা টেনিস খেলোয়াড়কে। ওসাকাকে একটি গেম দিয়ে দেন আম্পায়ার। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে টেনিস দুনিয়ায়। ম্যাচের পরে আম্পায়ারের বিরুদ্ধে লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগ আনেন সেরিনা। তিনি পরিষ্কার বলেন, ‘‘পুরুষ খেলোয়াড়েরা অনেকে অনেক কিছু বলেন আম্পায়ারকে। কিন্তু কখনও এ রকম শাস্তি পেতে হয় না। আমি মেয়ে বলে আমাকে এই শাস্তি পেতে হল। আমার থেকে একটা গেম নিয়ে নেওয়া হল। আমি এখানে শুধু নিজের জন্য নয়, মেয়েদের অধিকার নিয়ে লড়াই করছি।’’

সেরিনার অভিযোগ অন্য মাত্রা পাচ্ছে বিলি জিন কিংয়ের মতো কিংবদন্তি তাঁর সমর্থনে এগিয়ে আসায়। বিলি জিন টুইট করেছেন, ‘‘যখন কোনও মেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে, তখন তাকে হিস্টিরিয়াগ্রস্ত বলা হয়। আর কোনও পুরুষ যদি এ ধরনের কথা বলে, তখন বলা হয়, ছেলেটা খোলাখুলি কথা বলতে ভয় পায় না। ছেলেটার কোনও শাস্তিও হয় না। ধন্যবাদ সেরিনা উইলিয়ামস, এই দ্বিচারিতার কথা সামনে নিয়ে আসার জন্য। এই নিয়ে আরও অনেককে মুখ খুলতে হবে।’’

শুধু বিলি জিন নন, সেরিনা পাশে পাচ্ছেন তাঁর সমসাময়িক খেলোয়াড়দেরও। ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা টুইট করেন, ‘‘এটা যদি পুরুষদের খেলা হত, তা হলে এ রকম কিছুতেই হত না।’’ বিলি জিন যে-হেতু দীর্ঘ দিন ধরে টেনিস প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত, তাঁর এই মন্তব্যের পরে আম্পায়ার কোনও শাস্তি পান কি না, সেটাই দেখার। সেরিনাকে অবশ্য ১৭ হাজার মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লক্ষ ২৫ হাজার ) জরিমানা করা হয়।

সেরিনা বনাম আম্পায়ারের নাটক শুরু দ্বিতীয় সেট থেকে। দ্বিতীয় গেমে চেয়ার আম্পায়ার রায় দেন, গ্যালারি থেকে হাতের ভঙ্গিতে সেরিনাকে নির্দেশ দিচ্ছেন তাঁর কোচ প্যাটট্রিক মোরাতাগলু। এই নিয়ে সেরিনাকে সতর্ক করলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তিনি। ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক বারবার আম্পায়ারের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘‘আমাকে কেউ কোচিং করাচ্ছে না। আমি প্রতারণা করিনি। জীবনে কখনও চুরি করে জিতিনি। আমার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আপনাকে।’’

এর পরে পঞ্চম গেমে সেরিনার সার্ভিস ভাঙেন ওসাকা। যার পরে সেরিনা উত্তেজিত হয়ে র‌্যাকেট আছড়ে ভেঙে দেন। যে কারণে রেফারি দ্বিতীয়বার সতর্ক করেন সেরিনাকে এবং তাঁর একটা পয়েন্ট কেটে নেন। ওসাকা যখন ৪-৩ এগিয়ে, প্রান্ত বদলের সময় আম্পায়ারকে উদ্দেশ করে সেরিনা বলতে থাকেন, ‘‘আপনি আমার একটা পয়েন্ট চুরি করেছেন। আপনিও চোর।’’ যার পরে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি হিসেবে গেমটি ওসাকাকে দিয়ে দেন আম্পায়ার। আম্পায়ারের যে সিদ্ধান্ত নিয়েই টেনিস দুনিয়ায় তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

Tennis US Open Serena Williams Anger
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy