খেলোয়াড় জীবনে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভাল ছিল, এমন দাবি কেউ করেননি। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরেও সেটা অব্যাহত। তাঁরা— প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার গৌতম গম্ভীর এবং প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি। বৃহস্পতিবারই জানা যায়, আফ্রিদি আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’-এ তাঁর আসল বয়স ফাঁস করেছেন। তাঁর জন্ম ১৯৭৫ সালে, ১৯৮০-তে নয়। এ বার সেই আত্মজীবনীতেই গম্ভীরকে আক্রমণ করে বসলেন তিনি।
‘‘কিছু রেষারেষি ব্যক্তিগত, কিছু পেশাগত। প্রথমটা গম্ভীরকে নিয়ে। বেচারা গম্ভীর আর ওর আচরণগত সমস্যা। ও এমন এক জন, যার কোনও ব্যক্তিত্ব নেই। এমন এক জন, যাঁকে বড় জোড় ক্রিকেটের একটা চরিত্র বলা যাতে পারে। এমন এক জন, যাঁর কোনও বিরাট রেকর্ড নেই কিন্তু প্রচণ্ড ঔদ্ধত্য আছে,’’ আত্মজীবনীতে লিখেছেন আফ্রিদি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কিন্তু ঘটনা হচ্ছে গম্ভীর কেরিয়ারে ৫৮টি টেস্ট খেলেছেন। ওয়ান ডে এবং টেস্ট খেলেছেন যথাক্রমে ১৪৭ ও ৩৭টি। সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে গম্ভীরের ১০ হাজারের উপর রান। তুলনায় আফ্রিদি ৩৯৮টি ওয়ান ডে খেলেছেন। অনেক ম্যাচই ওপেনার হিসেবে। আট হাজারের উপর রান রয়েছে। তবে গড় ২৪-এরও কম। গম্ভীরের ওয়ান ডে গড় সেখানে প্রায় ৪০। টেস্টে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের গড় আরও বেশি, প্রায় ৪২। আফ্রিদির টেস্টে গড় ৩৬-এর একটু বেশি। শুধু তাই নয়, ২০০৭ টি-টোয়েন্টি ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গম্ভীরই সর্বাধিক রান করেন। ৭৫। তাতেও আফ্রিদি আক্রমণ করতে ছাড়েননি গম্ভীরকে। আরও লিখেছেন, ‘‘গম্ভীর এমন একটা ভাব করে যেন ও ডন ব্র্যাডম্যান ও জেমস বন্ডের মিশ্রণ। করাচিতে আমরা ওর মতো লোককে বিশেষ নামে ডাকি, সারিয়ল (বদমেজাজি)। ব্যাপারটা সোজা। আমি হাসিখুশি, ইতিবাচক মানুষ ভালবাসি। সে আগ্রাসী বা প্রতিযোগী হোক, তাতে কিছু যায় আসে না। তবে তাকে ইতিবাচক হতে হবে। গম্ভীর সে রকম ছিল না।’’ এই প্রসঙ্গে ২০০৭ এশিয়া কাপে গম্ভীরের সঙ্গে তাঁর ঝামেলার প্রসঙ্গও তুলে আনেন আফ্রিদি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy