Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ব্যাঙ্কক ফেরত শ্রেয়সীর পাশে থাকার আশ্বাস

সাফল্যের পথে প্রতিকূলতা ছিল অনেক। সব বাধা দূরে সরিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে নজির গড়লেন খড়্গপুরের শ্রেয়সী দাস চৌধুরী। ‘সপ্তম ওয়ার্ল্ড বডি বিল্ডিং এবং ফিজিক স্পোর্টস চ্যাম্পিয়ানশিপ’-২০১৫-র ‘উইমেনস ফিটনেস ফিজিক ওভার ১৬৫ সেন্টিমিটার’ বিভাগে পঞ্চম স্থান পেয়েছেন তিনি।

জেলাশাসকের কাছে শ্রেয়সী ও সোয়েল। সোমবার। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

জেলাশাসকের কাছে শ্রেয়সী ও সোয়েল। সোমবার। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:৪৬
Share: Save:

সাফল্যের পথে প্রতিকূলতা ছিল অনেক। সব বাধা দূরে সরিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে নজির গড়লেন খড়্গপুরের শ্রেয়সী দাস চৌধুরী। ‘সপ্তম ওয়ার্ল্ড বডি বিল্ডিং এবং ফিজিক স্পোর্টস চ্যাম্পিয়ানশিপ’-২০১৫-র ‘উইমেনস ফিটনেস ফিজিক ওভার ১৬৫ সেন্টিমিটার’ বিভাগে পঞ্চম স্থান পেয়েছেন তিনি। গত ২৪-৩০ নভেম্বর ব্যাঙ্ককে ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়। প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৫৭ টি দেশ।

শ্রেয়সীর ফলে অবশ্য তেমন খুশি নন শ্রেয়সীর বাবা তথা কোচ রঞ্জিত দাস চৌধুরী। রঞ্জিতবাবুর কথায়, “এই প্রতিযোগিতার জন্য যে ধরনের উন্নত প্রশিক্ষণ ও যন্ত্র প্রয়োজন, যে দামী পোশাক প্রয়োজন, খাবার প্রয়োজন, তা দিতে পারিনি। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক হয়ে কত টাকাই বা খরচ করতে পারি। এমনকী ব্যাঙ্কক যাওয়ার খরচও জোটাতে হয়েছে ধার করে।”

সোমবার পুরস্কার নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনার সঙ্গে শ্রেয়সী দেখা করেন। শ্রেয়সীকে ভবিষ্যতে আরও ভাল ফল করার জন্য উৎসাহ দেন জেলাশাসক। জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) সুশান্ত চক্রবর্তীকে কাছে পেয়ে তাঁরাও সরকারি সাহায্যের আবেদন জানান। দু’জনেই আশ্বাস দিয়েছেন, “ভবিষ্যতে যাতে সরকারি ভাবে কিছু সাহায্য করা যায়, সেই চেষ্টা করব।”

ছোট থেকেই যোগ ব্যায়াম ও বডি বিল্ডিংয়ের প্রতি শ্রেয়সীর ঝোঁক ছিলই। অল্প বয়সে দু’হাতে একই সঙ্গে লিখে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে খড়্গপুর কলেজে বি এ পাশ কোর্সের ছাত্রী শ্রেয়সী ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ পরপর তিন বছর ‘ন্যাশনাল পেয়ার যোগা’তে সাফল্য পেয়েছেন। ২০১৩ সালে ‘রিথিম জিমন্যাস্টিকে তৃতীয় হয়েছেন তিনি। ওই সালেই শ্রেয়সী ফিটনেসে মিস ইন্ডিয়াও হন। গত বছরও ‘ওয়ার্ল্ড বডি বিল্ডিং ফিজিক স্পোর্টস ফেডারেশন’ আয়োজিত ‘ষষ্ঠ ওয়ার্ল্ড বডি বিল্ডিং এবং ফিজিক স্পোর্টস চ্যাম্পিয়ানশিপ-২০১৪’তে চতুর্থ স্থান পেয়েছিলেন তিনি।

শ্রেয়সীর কথায়, “এ বার প্রতিদ্বন্দ্বীরা ছিল আগের থেকেও অনেক বেশি শক্তিশালী। দেশের সরকার তাঁদের সবরকম সাহায্য করে। আমিও যদি সাহায্য পেতাম, আরও অনেক ভাল করতাম।’’ কিছুটা ক্ষোভ নিয়েই তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক সাফল্য পেলেও কোনও সরকারি সাহায্য মেলেনি। পেয়েছি বলতে একটি বড় টিভি। যা দিয়ে অন্যদের খেলা দেখে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারি।”

চলতি মাসের ১২-১৩ তারিখে হয়ে যাওয়া ‘অল ইন্ডিয়া ওপেন যোগা চ্যাম্পিয়নশিপ-২০১৫’-তে জুনিয়র রেনবো টাইটল ট্রফি ছিনিয়ে নিয়েছে খড়্গপুরে সিলভার জুবিলি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সোয়েল আহমেদ গাজী। রেনবো যোগা ইনস্টিটিউট আয়োজিত প্রতিযোগিতা হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা গঙ্গাধর অ্যাকাডেমি স্কুলে। সেরার শিরোপা পেয়ে বেজায় খুশি সোয়েল ও তাঁর বাবা গাজী কামালউদ্দিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE