মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দেওয়া ক্যাচ তাঁর দুই হাতের ফাঁক দিয়ে গলে যেতেই বিস্মিত হয়েছিলেন ইডেন দর্শকরা। এই ক্যাচও কেউ ফেলতে পারে! তখন সদ্য দেড়শো পেরিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ক্যাচটা হাতছাড়া করার জন্য গ্যালারি থেকে নানা কটূক্তিও ভেসে এসেছিল বাউন্ডারি লাইনে থাকা শুভমান গিলের দিকে। লজ্জায়, অপমানে বিপর্যস্ত পঞ্জাবি তরুণটি ভুলের প্রায়শ্চিত্তের শপথ নিয়েছিলেন তখনই। নিজেকে বলেছিলেন, ‘দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়তে হবে।’ তাই করে দেখিয়েছেন ১৯ বছরের তরুণ। যা দেখে ধোনিও তাঁকে অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি।
সংকল্প পূরণের জন্য তাঁকে যিনি সব চেয়ে বেশি সাহায্য করেন, সেই অধিনায়ক দীনেশ কার্তিককেই শুভমান ইডেনে দাঁড়িয়ে মনের কথা শোনান ম্যাচের পরে। আইপিএলের ওয়েবসাইটে তাঁদের সেই কথোপকথনের ভিডিয়োয় শুভমানকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ক্যাচটা হাত থেকে ফস্কে যাওয়ায় খুব লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলাম। দলের কেউ আমাকে বকাঝকা করেনি। তবে দর্শকদের প্রচুর কটূক্তি শুনতে হয়েছিল আমাকে। তখনই জেদ চেপে যায়। ঠিক করে নিই, এই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত আমাকে করতেই হবে। দলকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়ব।’’
নীতীশ রানার চোট থাকায় চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার চার নম্বরে ব্যাট করেন শুভমান। আর আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েই বাজিমাত অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্যের। পরের ম্যাচগুলিতে চার নম্বরে কাকে খেলাবেন তা নিয়ে যে ধন্ধে পড়ে গিয়েছেন কার্তিক, তা তিনি স্বীকার করে নেন। শুভমানকেই জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘এ বার আমি কাকে চার নম্বরে খেলাব বল তো? তুমিই এই সমস্যার সমাধান করো।’’ যার উত্তর বেশ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গেই দিয়েছিলেন প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান। বলেছিলেন, ‘‘আমাকে যেখানেই খেলাও আমি ঠিক মানিয়ে নিতে পারব। চার, পাঁচ, সাত, কোনও জায়গাতেই খেলতে অসুবিধা নেই আমার।’’