এক লাফে ৩৬.৪ লক্ষ থেকে এক কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। প্রো কবাডি লিগের সপ্তম মরসুমে স্বপ্নের উত্থান মহারাষ্ট্রের ২৮ বছর বয়সি সিদ্ধার্থ দেশাইয়ের। তেলুগু টাইটান্স প্রথমেই তাঁকে এক লাফে তাঁর ন্যূনতম দর ৩০ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা তুলে দেওয়ার পরেই বোঝা যাচ্ছিল নজির গড়তে চলেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাই হল। তেলুগু টাইটান্স তাঁকে প্রো কবাডি লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরে দলে সই করানো নিশ্চিত করে ফেলে।
মহারাষ্ট্রের ছোট্ট শহর চন্দগড় থেকে উঠে আসা সিদ্ধার্থ গত বছরই অভিষেক ঘটিয়েছিল প্রো কবাডি লিগে। প্রায় আড়াইশো রেইড পয়েন্ট এনে দেন তিনি তাঁর দল ইউ মুম্বাকে গত মরসুমে। ইউ মুম্বা তাঁকে এ মরসুমে ধরে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ফলে আসন্ন মরসুমে তাঁকে বড় বাজি ধরা হচ্ছিল। সেই ধারণা মিলে যাওয়ার পরে কেমন লাগছিল তাঁর? সোমবার মহারাষ্ট্রের বাড়ি থেকে ফোনে সিদ্ধার্থ উচ্ছ্বসিত গলায় বলে ওঠেন, ‘‘তেলুগু টাইটান্স যখন আমার দর একে বারে ৩০ লক্ষ থেকে এক কোটি ডাকে, তখন আনন্দে নাচতে ইচ্ছা করছিল। একই অবস্থা ছিল আমার পরিবারেরও।’’ কত দর আশা করেছিলেন তিনি? সিদ্ধার্থ বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম খুব বেশি হলে ৭০-৮০ লক্ষ টাকা দর উঠবে আমার।’’ এর পরেই আবেগঘন গলায় বলে ওঠেন, ‘‘আমি কৃষক পরিবার থেকে উঠে এসেছি। কবাডি খেলোয়াড় হওয়ার জন্য কত কষ্ট করতে হয়েছে, সেটা আমিই জানি।’’ কী করবেন এই অর্থ দিয়ে? সিদ্ধার্থ বলেন, ‘‘এই টাকা নিজের ফিটনেস, ডায়েট আরও ভাল করার জন্য খরচ করব। আর আমার জেলার দরিদ্র খেলোয়াড়দের উঠে আসতে সাহায্য করব। অর্থের অভাবে যারা আলোয় আসতে পারে না।’’
কেন সিদ্ধার্থকে দলে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ছিলেন নিলামে, তাও জানান তেলুগু টাইটান্সের অন্যতম কর্তা। তিনি বলেন, ‘‘আসলে আমাদের পরিকল্পনা অন্য রকম ছিল। কিন্তু দেখলাম পরিকল্পনা অনুযায়ী নিলামে খেলোয়াড় পাচ্ছি না। তখন দলে রেইডার নেওয়ার জন্য ঝাঁপাই। সিদ্ধার্থ আমাদের দলের নিউক্লিয়াস। আমরা ওকে আগামী পাঁচ মরসুম ধরে রাখার চেষ্টা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy