Advertisement
E-Paper

শিলিগুড়ি ডার্বির গুরুত্ব বেশি ইস্টবেঙ্গলের কাছে

এগারো ম্যাচ পরেও অপরাজিত, মোহনবাগান এখন মসৃণ ভাবে ছুটছে। দলটাকে দেখলে মনে হচ্ছে কোনও ঝাঁকুনি বা কম্পন ছাড়াই হাইওয়ে দিয়ে একটা অডি দ্রুতগতিতে ছুটছে। আই লিগে এখনও তিনটে ঘোড়ার দৌড়। মাত্র ছয় রাউন্ড বাকি আছে ঠিকই কিন্তু এখনও অনেক ফুটবল খেলা বাকি আছে। এমন সময় যখন লিগটা কয়েকদিনের জন্য ছুটিতে যাবে বলতেই হচ্ছে ‘অ্যাডভান্টেজ মোহনবাগান।’

ভাইচুং ভুটিয়া

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৬ ০৩:৫৪

এগারো ম্যাচ পরেও অপরাজিত, মোহনবাগান এখন মসৃণ ভাবে ছুটছে। দলটাকে দেখলে মনে হচ্ছে কোনও ঝাঁকুনি বা কম্পন ছাড়াই হাইওয়ে দিয়ে একটা অডি দ্রুতগতিতে ছুটছে।

আই লিগে এখনও তিনটে ঘোড়ার দৌড়। মাত্র ছয় রাউন্ড বাকি আছে ঠিকই কিন্তু এখনও অনেক ফুটবল খেলা বাকি আছে। এমন সময় যখন লিগটা কয়েকদিনের জন্য ছুটিতে যাবে বলতেই হচ্ছে ‘অ্যাডভান্টেজ মোহনবাগান।’

যেটার প্রশংসা করতেই হবে সেটা হল এএফসি কাপে মোহনবাগানের ফর্ম। যে দলটা আই লিগ জেতার দাবিদার, এএফসি কাপও ব্যালান্স করা একটু হলেও সমস্যা হতে পারত। কিন্তু প্লেয়াররা দুটোই সমানভাবে সামলাচ্ছে। খেলার স্টাইলও ওদের পজিটিভ।

দলগুলো যখন আবার আই লিগে ফিরবে তখন সেই প্রত্যাশিত কলকাতা ডার্বিতে মুখোমুখি মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচটা কলকাতার বাইরে শিলিগুড়িতে হচ্ছে ঠিকই কিন্তু ডার্বিটা মোহনবাগানের থেকে ইস্টবেঙ্গলের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ডিএসকের বিরুদ্ধে হারটাই ইস্টবেঙ্গলকে পিছিয়ে দিয়েছে। মোহনবাগানের মতো ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি ওরা। শিলিগুড়িতে খারাপ রেজাল্ট মানেই হয়তো খেতাবের দরজা বন্ধ হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের জন্য। তাই ওদের ফোকাস অনেক বেশি থাকবে। আর ফোকাস বেশি থাকা মানে চাপও অনেক থাকে। ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতি ওদের জন্য। ডিএসকে শিবাজিয়ান্সের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স আমার দেখা সবথেকে খারাপ। দলের মধ্যে কোনও যোগসূত্র ছিল না আর লাল হলুদ বলতে যা বুঝি সেটাও দেখতে পেলাম না।

কলকাতার থেকে বাইরে বেঙ্গালুরু বেশ ধারাবাহিক খেলছে। প্রতি ম্যাচকে গুরুত্ব দিয়ে বাগানের উপর ভাল চাপ তৈরি করছে। ওরা অবশ্যই সুযোগের জন্য অপেক্ষা করবে আর তত দিন অবধি নিজেদের চ্যালেঞ্জ অক্ষত রাখতে চাইবে।

আই লিগ যে ছুটিতে যাচ্ছে তার দুটো দিক আছে। দল ভাল ফর্মে থাকলে ব্রেক নেওয়া পছন্দ করে না। তাতে দলের ছন্দ নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে। পাশাপাশি আবার ব্রেক মানে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া। ফাটলগুলো মেরামত করা যাতে সমস্যা মেটানো যায়। তাই কী রকম ভাবে তুমি ব্রেকটাকে নেবে সেটার উপর নির্ভর করছে।

অবনমন যুদ্ধেও লড়াই হাড্ডাহাড্ডি। শিলং লাজং আর আইজল এফসি একে অপরের ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছে। লাজংয়ের অভিজ্ঞতা বেশি আর সেটাই হয়তো ওদের টিকে থাকতে সাহায্য করবে।

আইজলের বোঝা উচিত ভাল খেলা আর জেতার মধ্যে পার্থক্যটা। দারুণ ফুটবল খেলে ওরা সবার হৃদয় জয় করেছে ঠিকই কিন্তু দিনের শেষে ম্যাচও জিততে হবে। বাকি আর কিছুতেই কিছু যায় আসে না!

East Bengal derby Siliguri Baichung Bhutia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy