গ্যালারি তৈরি হচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে। —ফাইল চিত্র।
শিলিগুড়িতে আই লিগের ডার্বি ম্যাচ দেখতে স্থানীয় হোটেলগুলিতে আগাম বুকিং-এ সাড়া পড়েছে। কাতসুমি, জেজে, সনিদের সঙ্গে র্যান্টি মার্টিন্স, মেন্ডি, রবার্টদের লড়াই। ২ এপ্রিল ওই ম্যাচের জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের কাছাকাছি বেশ কিছু হোটেলে থাকার জায়গা অধিকাংশ এখনই ‘বুকিং’ হয়ে গিয়েছে। হোটেল মালিকদের আশা যে হোটেলগুলিতে এখনও জায়গা রয়েছে সেগুলিও দিন কয়েকের মধ্যে শহরের বাইরের ফুটবলপ্রেমীরা বুকিং করে নেবেন।
শিলিগুড়িতে দুই যুযুধান দলের খেলা দেখতে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুই পক্ষের সমর্থকেরাই যে ভাল সংখ্যায় হাজির হবেন তা নিয়ে সন্দেহ নেই ক্রীড়া সংগঠকদের। হোটেলের চাহিদা বাড়ছে সে কারণেই। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের একটি সূত্রই জানিয়েছে, সব কিছু ঠিক থাকলে লাল-হলুদ দল উঠছে মাল্লাগুড়ির একটি হোটেলে। মোহনবাগানের ফুটবলাররা এবং টিমের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারা শিবমন্দির এলাকার একটি হোটেলে থাকছেন। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ২৫ হাজার টিকিট করা হচ্ছে খেলা দেখার জন্য। তার সিংহভাগ আয়োজক ইস্টবেঙ্গল এবং প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান নেবে। কলকাতা থেকে উভয় দলের ফ্যানরা যে ভাল সংখ্যায় উপস্থিত থাকবেন সে ব্যাপারে সকলেই একমত। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ বলেন, ‘‘কলকাতা তথা শহরের বাইরে থেকে এই ম্যাচ দেখতে দুই দলের অন্তত হাজার পাঁচেক সমর্থক আসবেন বলে আমাদের ধারণা।’’ ডার্বি ম্যাচের টিকিটের চাহিদাও তুঙ্গে। ক্রীড়া পরিষদ ১০ হাজার টিকিট স্টেডিয়াম থেকে বিক্রির জন্য দাবি করলেও তারা কত পাবেন এখনও জানতে পারেননি।
যা পরিস্থিতি তাতে সমর্থকেরা থাকার জন্য স্টেডিয়ামের কাছাকাছি হোটেলগুলিকেই পছন্দের তালিকায় আগে রেখেছেন। স্পষ্টতই, সেগুলির একাংশ ইতিমধ্যেই বুক হয়ে গিয়েছে ওই ম্যাচের জন্য। স্টেডিয়াম ঘেঁষা তিলক রোডে, বিধান রোড়ে, হিলকার্ট রোডে ওই সমস্ত হোটেল রয়েছে। ২ এপ্রিল সেগুলির অধিকাংশ থাকার জন্য বুক হয়ে গিয়েছে। পুরসভার অতিথিশালা এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের যুব আবাসেও ওই সময় থাকার জন্য অনেকে আগাম বুকিং করেছেন।
শিলিগুড়ি হোটেল মালিক সংঠনের তরফে জানানো হয়, তারাও ওই ম্যাচকে ঘিরে আশাবাদী। বাইরে থেকে ম্যাচ দেখতে প্রচুর লোকজন আসবেন বলেই তাঁরা মনে করছেন। ২৮ মার্চ থেকেই খেলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক, আয়োজক ইস্টবেঙ্গলের কর্মকর্তাদের অনেকেরই শহরে পৌঁছে যাওয়ার কথা। সব কিছু ঠিক থাকলে ৩০ মার্চ ইস্টবেঙ্গল দল শহরে ঢুকে পড়ছে।
শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন এলাকার একটি হোটেলের কর্ণধার তথা হোটেল মালিক সংগঠনের কর্মকর্তা রাজীব দাস বলেন, ‘‘ডার্বি ম্যাচ দেখার জন্য শহরে থাকতে বুকিংয়ের জন্য অনেকে ফোন করছেন। অনেকে বুকিং-ও করেছেন। স্টেডিয়ামের আশেপাশের হোটেলগুলিতেও বুকিং চলছে।’’ তাঁর দাবি, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডি্য়ামের আশেপাশে বেশ কিছু হোটেলে ২ এপ্রিলের জন্য ৭৫ শতাংশ জায়গা বুকিং হয়ে গিয়েছে। অন্যান্য হোটেলগুলিতে বুকিং হচ্ছে। কোনটাতে ২০ শতাংশ কোনটাতে ৪০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। ম্যাচের এখনও ১৩ দিন বাকি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাকি জায়গার অধিকাংশ বুকিং হয়ে যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy