Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

কেউ পাশে, কেউ চান চিরনির্বাসন

সেই প্রাক্তন সতীর্থের নাম মোইজেস হেনরিকেস। অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডার তাঁর টুইটারে লিখেছেন, ‘আমার মত হল, বল বিকৃতি ঘটানোর জন্য সিনিয়র ক্রিকেটারদের কোনও বৈঠক হয়নি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৮ ০৪:১৬
Share: Save:

কলঙ্কিত স্টিভ স্মিথ-কে নিয়ে হঠাৎ করে নতুন একটা মত দেখা দিয়েছে। যেখানে স্মিথের এক প্রাক্তন সতীর্থ বলেছেন, ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট-কে বাঁচাতে গিয়েই নিজের কাঁধে যাবতীয় দায় তুলে নিয়েছেন স্মিথ।

সেই প্রাক্তন সতীর্থের নাম মোইজেস হেনরিকেস। অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডার তাঁর টুইটারে লিখেছেন, ‘আমার মত হল, বল বিকৃতি ঘটানোর জন্য সিনিয়র ক্রিকেটারদের কোনও বৈঠক হয়নি। ব্যানক্রফ্ট-কে বাঁচানোর জন্য স্মিথ সাংবাদিক বৈঠকে কথাগুলো বলে। তখন বোঝেনি, এর ফল কী হতে পারে।’ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ব্যানক্রফ্ট নিজে থেকে কেন এমন করবেন? আর সে ব্যাপারটা টিমের বাকিরা জানবেন না? আরও একটা টুইটে যা নিয়ে হেনরিকেস বলেছেন, ‘‘আমি বলছি না, ব্যানক্রফ্ট যে কাণ্ডটা ঘটিয়েছে, সেটা কেউ জানত না। আমি বলতে চাইছি, প্রতারণা করার জন্য দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে কোনও বৈঠক হয়নি। এটা নিছকই এক জন অধিনায়কের তার দলের অনুজ ক্রিকেটারকে রক্ষা করতে চাওয়ার ঘটনা। খেলা শেষ হওয়া আর সাংবাদিক বৈঠক শুরুর মধ্যে মিনিট দশেক সময় ছিল, যখন ওরা মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেনি।’

হেনরিকেসের বক্তব্য সমর্থন না করলেও স্মিথের পাশে দাঁড়িয়েছেন মাইকেল ক্লার্ক। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক আবেদন করছেন, স্মিথ-কে যেন ক্ষমা করে দেওয়া হয়। ক্লার্ক বলেছেন, ‘‘স্মিথের জন্য আমার খারাপ লাগছে। মানছি, স্মিথ একশো শতাংশ দোষী। ও বিরাট ভুল করেছে যার খেসারত স্মিথ-কে এবং আরও কয়েক জনকে দিতে হবে। কিন্তু এত সব সত্ত্বেও বলব, স্মিথ-কে ক্ষমা করে দেওয়াটাই ঠিক কাজ হবে।’’ ক্লার্ক অবশ্য আগের দিন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ঠিক জায়গা থেকে প্রস্তাব এলে তিনি ফের জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথাটা ভেবে দেখবেন।

তবে অস্ট্রেলীয় প্রচার মাধ্যমের যা মেজাজ, তাতে ক্ষমা শব্দটা তাদের মাথায় সম্ভবত নেই। এক বর্ষীয়ান সাংবাদিক লিখেছেন, ‘‘যে কোনও মূল্যে জিততে হবে, এই সংস্কৃতিটা টিমের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। যেটা এখন সীমা অতিক্রম করে প্রতারণার পর্যায়ে নেমে এসেছে। এই ঘটনা থেকে কোনও ভাবেই নিজেদের টেনে তুলতে পারবে না স্মিথ এবং ওর দল।’’ দেশের প্রচার মাধ্যমের মতোই আক্রমণাত্মক অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ফাস্ট বোলার জেফ টমসন। তিনি পরিষ্কার বলেছেন, ‘‘যে যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে, তাদের প্রত্যেককে আজীবন নির্বাসনে পাঠানো হোক।’’

আইসিসি অবশ্য এক টেস্টের বেশি নির্বাসিত করেনি স্মিথ-কে। যা নিয়ে ক্রিকেট মহলের একটা অংশে রীতিমতো ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কেন কড়া শাস্তি দেওয়া হবে না তাঁকে, এই প্রশ্নও উঠছে। এ বার দেখার, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড স্মিথ-কে আরও কোনও কড়া শাস্তি দেয় কি না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE