—প্রতীকী চিত্র।
আমেরিকার ফ্লোরিডায় জেলে ছুরি মারা হল বন্দি ল্যারি নাসারকে। আমেরিকার জিমন্যাস্টিক্স দলের প্রাক্তন কোচে নাসারের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণেই গত সাত বছর ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। সেখানে তাঁকে ছুরি মারেন অন্য এক বন্দি।
রবিবার ছুরি মারার ঘটনা ঘটে। সোমবার জানা যায় তিনি কিছুটা সুস্থ হয়েছেন। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে যে, নাসারের পিঠে এবং বুকে ছুরি মারা হয়েছে। ওই ঘটনার সময় জেলে মাত্র দু’জন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। সেই সুযোগেই নাসারকে ছুরি মারা হয়। কেন ছুরি মারা হয়েছে তা জানা যায়নি।
ফ্লোরিডার সংশধনাগারে কয়েক বছর ধরেই লোকাভাব রয়েছে। ঘটনার দিন জেলের দুই নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে এক জন টানা ১৬ ঘণ্টা কাজ করছিলেন। অন্য জনও টানা ১০ ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করছিলেন। ২০১৯ সালে এই জেলেই এক বন্দি আত্মহত্যা করেছিলেন।
সাত বছর আগে নাসার নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছিলেন। তিনি যে মেয়েদের যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেছিলেন তা মেনে নিয়েছিলেন। শিশুদের আপত্তিকর ছবিও অনেকের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন বলে মেনে নিয়েছিলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছিল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই অলিম্পিক্সের জন্য আমেরিকার জিমন্যাস্টদের তৈরি করা হয়।
নাসারের বিরুদ্ধে যে সব জিমন্যাস্ট অভিযোগ করেছিলেন, ছুরি মারার ঘটনায় তাঁরা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এক অভিযোগকারিণী বলেন, “এক সময় ওর হাত থেকে অন্যদের রক্ষা করতে হত। এখন ওকে রক্ষা করতে হচ্ছে।” আর এক অভিযোগকারিণী সারা ক্লেইন বলেন, “অনেক শিশুর আপত্তিকর ছবি নাসার সকলকে পাঠাত। ওকে যারা রক্ষা করছে, তারা সে শিশুদের ক্ষতি করছে। আমি চাই নাসার জেলে কঠিন শাস্তি পাক। নাসারকে খুন করে দিলে ও সহজে মুক্তি পেয়ে যাবে। সেটা আমি চাই না।”
২০১৮ সালে ১৫০ জনের বেশি মহিলা নাসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। তাঁদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। নাসার যে মহিলাদের যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেছিলেন, সেই তালিকায় অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী সিমনে বাইলসও ছিলেন। তিনিও কোর্টে অভিযোগ করেছিলেন। ২০১৬ সালে নাসারকে গ্রেফতার করে মিশিগান পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy