রাজ্য অলিম্পিক সংস্থার সংবর্ধনায় ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতনের সঙ্গে অলিম্পিয়ান গুরবক্স সিংহ। ছবি: উৎপল সরকার
ফিফার অনুমতি না পেলে এ বার যুবভারতীতে আইএসএলের অনুমতি দেবে না রাজ্য সরকার। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
বুধবার সন্ধ্যায় বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া সমবর্ধনা সভায় আসার আগে দফতরের প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লকে নিয়ে সল্টলেক স্টেডিয়াম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অরূপ। অনূর্ধ্ব ১৭ যুব বিশ্বকাপের পরিকাঠামো দেখতে ফিফার প্রতিনিধিরা আসবেন অক্টোবরে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ করার জন্য সব পক্ষকে এ দিন নির্দেশ নিয়ে এসেছেন ক্রীড়ামন্ত্রীরা। ওই সময় চলবে আইএসএল। আটলেটিকো দে কলকাতার কর্তারা চাইছেন স্টেডিয়ামের একটি অংশ বন্ধ রেখে ওই সময় যুবভারতীতেই ম্যাচ সংগঠন করতে। ক্রীড়ামন্ত্রীর মনোভাব দেখে মনে হল বড় কোনও চাপে নতিস্বীকার করতে না হলে বিশ্বকাপের আগে তিনি আইএসএল বা ডার্বি কিছুই করতে দেবেন না।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এ দিন ক্রীড়া দফতরের দুই মন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানায় বিওএ-র ৪৩ ইউনিট। অ্যাথলেটিক্স থেকে হকি, সাইক্লিং থেকে বক্সিং—শ’খানেক ফুলের স্তবক আর উপহার নিতে নিতে রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে পড়েন মন্ত্রীরা। বিওএ-র পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সচিব চন্দন রায়চৌধুরী নানা উপহার তুলে দেন। অভিনব উপহার দিতে দেখা যায় হকির স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সঙ্গে তখন অলিম্পিয়ান গুরবক্স সিংহ।
এত সংবর্ধনার পরও অবশ্য বক্তৃতা দিতে উঠে ক্রীড়ামন্ত্রী অত্যন্ত কড়া বার্তা দেন গোষ্ঠীদন্দ্বে বিধ্বস্ত বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার কর্তাদের। বলেন, ‘‘এক একটা সংস্থার তিন চারটে দল। এ সব বরদাস্ত করব না। নিজেরা বসে সব মিটিয়ে নিন। আমাদের লক্ষ্যই বাংলা থেকে ভাল খেলোয়াড় তুলে আনা। না হলে আমরা সরাসরি সেই খেলার খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলব।’’ প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র জেলে যাওয়ার পর আগের মন্ত্রীসভায় ছ’মাসের জন্য ক্রীড়া দফতর সামলেছিলেন তিনি। ফলে ছোট খেলার সব অসুখ তাঁর জানা। মন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনেই তাই কড়া অরূপ। টেবল টেনিস, জিমন্যাস্টিক্স, সাঁতার, বক্সিং—যেখান থেকে জাতীয় গেমসে পদক আসতে পারে বাংলায় সেখানেই নানা গন্ডগোলের জেরে প্রতিশ্রুতিমান সম্ভবনা নষ্ট হচ্ছে।
ক্রীড়ামন্ত্রী এ দিন জানিয়ে দেন, সল্টলেক স্টেডিয়ামেই হকির অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসানো হবে। যুবভারতী এবং রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে বসবে নতুন অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক বসানো হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডান মাঠেও ফ্লাডলাইট হবে বলেন তিনি। আরও নানা প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রীরা। বাংলার খেলাধুলার যা হাল তাতে দেখার শেষ পর্যন্ত তাঁরা কতটা সফল হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy