ম্যাট পেতে চলছে এএন ঘোষ টুর্নামেন্ট। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
দেওধর ট্রফির দল নির্বাচনে আচমকাই বিতর্ক তৈরি হল বাংলার দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্ল এবং সৌরাশিস লাহিড়িকে ঘিরে।
সোমবার রাঁচিতে দেওধরের দল নির্বাচনী বৈঠক ছিল। অধিনায়ক হলেন মনোজ তিওয়ারি। তিনি ছাড়া টিমে বাংলার বাকি চার বাংলা অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল, সৌরাশিস লাহিড়ি, শ্রীবত্স গোস্বামী এবং অশোক দিন্দা। বৈঠকে আচমকাই কোনও কোনও নির্বাচক প্রশ্ন তোলেন, লক্ষ্মী ও সৌরাশিসের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে। বলা হয়, লক্ষ্মীকে কেন এখনও নেওয়া হবে? নতুন মুখ কেন দেখা হবে না?
যা শুনে বাংলা নির্বাচক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি অবাক হয়ে যান। লক্ষ্মী গত বছর বাংলার সেরা পারফর্মার। এ বারও বিজয় হাজারেতে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বেধড়ক পিটিয়ে ৭১ ন:আ: করেছেন। নিয়মিত উইকেট তুলছেন। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে তো বটেই, চার দিনেও তাঁর পরিবর্ত পূর্বাঞ্চলে খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। বৈঠকে পাল্টা তাই বলা হয়, দেওধরে লক্ষ্মীর বিকল্প নেই। আর নতুন মুখের খোঁজই যদি করতে হয়, তা হলে ঝাড়খণ্ডের ইশাঙ্ক জাগ্গি বা সৌরভ তিওয়ারিদেরও রাখার কোনও যুক্তি নেই। শুনে নাকি বিরোধীরা চুপ করে যান। সৌরাশিস নিয়ে আবার পাল্টা বলা হয়, কল্যাণীর সবুজ পিচেও উইকেট তুলেছেন সৌরাশিস। তাঁর ব্যাটের হাতও ভাল। একজন অফস্পিনার, যে কি না আবার ব্যাটটাও নির্ভরতার সঙ্গে করে দেবে, তেমন ক্রিকেটার আর কোথায় পূর্বাঞ্চলে?
বাংলা টিম আবার এ দিন বিজয় হাজারের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে রাজকোট রওনা হয়ে গেল। এবং যাওয়ার পথে বাস-বিভ্রাটেও টিমকে পড়তে হল। ও দিকে, রঞ্জি ট্রফিতে বাংলাকে আবার সবুজ পিচে খেলতে হবে। এমনকী প্র্যাকটিস পিচ তাতেও ঘাস রাখা থাকবে। সিএবি যুগ্ম সচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাকি এটা নিয়ে কথা হয়েছে ইডেন কিউরেটর প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের।
বিকেলে প্রবীর বললেন, “বাংলার প্রধান শক্তি পেস বোলিং। সেটা মাথায় রেখেই উইকেট তৈরি হবে। প্র্যাকটিস উইকেটেও ঘাস থাকবে।” বাংলা ক্রিকেটে এ দিন একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও ঘটে গেল। স্থানীয় এএন ঘোষ টুর্নামেন্ট শুরু হল সোমবার থেকে, ম্যাটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy