কিংবদন্তি: ধোনির ব্যাটে দেখা গিয়েছে সেই পুরনো ঝলক। ছবি: টুইটার
গত বছরের কঠিন সময় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো দুটো দলের মধ্যে এ বারের আইপিএল ফাইনাল হতে চলেছে। আজ, শুক্রবার, দুবাইয়ে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স।
দুটো দলই এর আগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাই ফাইনালের চাপটা নিতে ভালই জানে। দুটো দলের নেতৃ্ত্বে এমন দু’জন ক্রিকেটার আছে, যারা দেশকে আইসিসি বিশ্বকাপ এনে দিয়েছে। তবে এদের মধ্যে শুধু এক জনই, সব ফর্ম্যাটের বিশ্বকাপ জিতেছে। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এবং, দুই অধিনায়কের কেউই ব্যাট হাতে সেরা ছন্দে নেই। যদিও আগের ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে চেন্না্ইকে ফাইনালে তোলার পথে তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের স্মৃতি কিছুটা ফিরিয়ে এনেছিল এমএসডি।
ক্রিকেটের এই ফর্ম্যাটে একটা ব্যাপারে কিন্তু বড় সুবিধে পায় আধুনিক যুগের ক্রিকেটারেরা। ওদের দায়িত্ববোধ নিয়ে এখন প্রশ্ন প্রায় তোলাই হয় না। যে কারণে বেশি বলে কম রান তোলার পরিস্থিতিতেও ব্যাটাররা বড় শট খেলে ম্যাচ জেতাতে চায়। খুচরো রান নিয়ে নয়। আর এটা শুধু দু’একটা মরসুম খেলা নবাগতদের ক্ষেত্রেই দেখা যায় না। অভিজ্ঞ তারকা ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। যেমন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে কেকেআরের ব্যাটিংয়ের সময় দেখা গেল। যে-হেতু কলকাতা ওই ম্যাচটা জিতে গিয়েছে, তাই কেউ আঙুল তুলবে না। দায়িত্ব নিয়ে খেলা শেষ করে আসা এখন অতীতের এক মূল্যবোধ।
আর এখানেই ব্যতিক্রমী এমএসডি। প্রথম কোয়ালিফায়ারে কম বলে বেশি রান করতে হবে, সেই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমেছিল ধোনি। ফর্মে থাকা রবীন্দ্র জাডেজার আগে। ধোনি দায়িত্ব নিয়েছিল ম্যাচটা শেষ করে আসার। আর সেটা ও করল অহেতুক ঝুঁকি না নিয়ে। চোখ বন্ধ করে ব্যাট না চালিয়ে। যে কারণে ক্রিকেটবিশ্বে ও এত সম্মান পায়। শান্ত, ঠান্ডা মানসিকতা বাকিদের চেয়ে ধোনিকে আলাদা করে দেয়। কলকাতা যদি ওদের আগের ম্যাচ থেকে শিক্ষা নেয়, তা হলে নিঃসন্দেহে একটা দারুণ ফাইনাল দেখা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy