Advertisement
০৭ মে ২০২৪
taliban

Taliban: খেলা হবে তো? তালিবানি অভ্যুত্থানে সংশয়ে টি-২০ বিশ্বকাপে রশিদদের যোগদান

তালিবান আগ্রাসনের হাত থেকে বাঁচছে না ক্রিকেটও। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের ছ’টি প্রধান ক্রিকেট স্টেডিয়ামের তিনটিই এর মধ্যে দখল করেছে তারা।

তালিবানদের দখলে আফগান ক্রিকেট।

তালিবানদের দখলে আফগান ক্রিকেট। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২১ ১৮:০৩
Share: Save:

যত দিন যাচ্ছে তত আফগানিস্তানের একের পর এক এলাকা দখল করে নিচ্ছে তালিবান। কন্দহর, গজনি দখলের পর ক্রমশ তারা এগিয়ে আসছে রাজধানী কাবুলের দিকে। তালিবান আগ্রাসনের হাত থেকে বাঁচছে না ক্রিকেটও। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের ছ’টি প্রধান ক্রিকেট স্টেডিয়ামের তিনটিই এর মধ্যে দখল করে নিয়েছে তারা। ফলে টি-২০ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের যোগদান নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র ধোঁয়াশা। বিশ্বকাপে বিরাট কোহলীদের সঙ্গেই গ্রুপ বি-তে রয়েছে আফগানিস্তান।

টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু হতে মাত্র দু’মাস বাকি। তার আগে বিভিন্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তালিবান আগ্রাসনে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ব্যাহত হওয়ার তীব্র আশঙ্কা। দেশের তিন প্রধান ক্রিকেটার বিদেশে। তবে জাতীয় দলের বড় সংখ্যক ক্রিকেটারই দেশে রয়েছেন। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার দু’মাস আগেও ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তাঁরা। ক্রিকেট তো দূরের ব্যাপার, দেশ থেকে কী ভাবে বেরোবেন সেটাই এখন তাঁদের প্রধান চিন্তা।

আইপিএল-এ আফগানিস্তানের তিন ক্রিকেটার খেলেন। এঁরা হলেন রশিদ খান, মুজিব উর রহমান এবং মহম্মদ নবি। কিন্তু বাকি আরও অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন, যাঁরা স্থানীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন। আপাতত তাঁরা কিছুই করতে পারছেন না। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারাও এ ব্যাপারে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। গোটা দেশের ভাবনাচিন্তায় এখন শুধুই তালিবান। ক্রিকেট আপাতত পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে আফগানিস্তানে।

আফগানিস্তানের কন্দহর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, খোস্ত সিটি স্টেডিয়াম এবং কুন্দুজ ক্রিকেট স্টেডিয়াম পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে তালিবান। মাজার-ই-শরিফের বলখ ক্রিকেট স্টেডিয়াম দখল নিয়ে আফগান সেনার সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে। কাবুল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম আপাতত বন্ধ। এ ছাড়া জালালাবাদের গাজি আমানুল্লা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এখনও রয়েছে আফগান সরকারের হাতে।

দেশের বেশিরভাগ ক্রিকেটার কাবুলের স্টেডিয়ামেই অনুশীলন করেন। কিন্তু দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য সেই স্টেডিয়াম খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। জাতীয় দলের অন্যান্য ক্রিকেটাররাও ব্যস্ত নিজেদের এবং পরিবারের জীবনরক্ষা করতেই। ফলে কবে থেকে প্রস্তুতি শুরু করতে পারবেন, তা কেউই জানেন না।

উল্লেখ্য, দেশকে বাঁচাতে ইতিমধ্যেই টুইট করেছেন রশিদ এবং নবি। বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের কাছে রশিদ আবেদন করেছেন আফগানিস্তানের বিপদের সময়ে এগিয়ে আসার জন্য। বাস্তবে এখনও কোনও দেশই সেই ইঙ্গিত দেয়নি।

আফগানিস্তান বিশ্বকাপে যোগ দিতে না পারলে বিকল্প কী ব্যবস্থা হবে তা নিয়ে আইসিসি-ও এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি। সে ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জনের লড়াইয়ে থাকা কোনও দেশ হয়তো সুযোগ পেতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE