কয়েক দিন পরে আল্টিমেট টেবল টেনিসের ষষ্ঠ মরসুম শুরু হলে আবারও প্রমাণ হয়ে যাবে ভারতীয় টেবল টেনিসের প্রাণকেন্দ্র কেন বলা হয় বাংলাকে। এই প্রতিযোগিতার বিভিন্ন দলে দেখা যাবে আট জন বাংলার খেলোয়াড়কে। যা দেশের অন্য যে কোনও রাজ্যের চেয়ে বেশি।
যে তালিকায় আছেন রণিত ভঞ্জ, কৃত্তিকা সিংহ রায়, জিৎ চন্দ্র, অঙ্কুর ভট্টাচার্য, অনির্বাণ ঘোষ, আকাশ পাল, সৌরভ সাহা এবং স্বস্তিকা ঘোষ। এই ছবিটা কিন্তু নতুন নয়। দশকের পর দশক বাংলা ভারতীয় টেনিসকে একের পর এক তারকা উপহার দিয়েছে। যেমন মৌমা দাস, পৌলমী ঘটক, অঙ্কিতা দাস, সৌম্যজিৎ ঘোষ, সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়, ঐহিকা মুখোপাধ্যায়। সবাই উঠে এসেছেন বাংলা থেকেই।
তবে বহু বছর ধরেই বাংলার খেলোয়াড়দের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের মেলে ধরতে হয়েছে বড় মাপের কোনও ঘরোয়া প্রতিযোগিতা ছাড়াই। যেখানে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় তারকাদের সঙ্গে একই দলে থাকার, অভিজ্ঞতা বাড়ানোর সুযোগ থাকবে। যে অভাব পূরণ করতে ২০১৭ থেকে প্রয়াস চালাচ্ছে আল্টিমেট টেবল টেনিস (ইউটিটি)। যার অন্যতম কর্ণধার নীরজ বাজাজ ও ভিতা দানি। এই প্রতিযোগিতা এমন একটা পেশাদার পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে খেলোয়াড়দের জন্য যেখানে দেশের আঞ্চলিক স্তরের প্রতিভারাও জাতীয় স্তরে উঠে আসার সুযোগ পাচ্ছেন।
শুধু তাই নয়, এ বারের ইউটিটি-তে একটা বৃত্ত পূর্ণ হচ্ছে বাংলার দলের অন্তর্ভুক্তিতে। যে দলের নাম কলকাতা থান্ডারব্লেডস। যেখানে খেলতে দেখা যাবে পুয়ের্তো রিকোর অলিম্পিয়ান আদ্রিয়ানা ডিয়াজ় (বিশ্বর্যাঙ্কিং ১৭), নাইজিরিয়ার অরুণা কাদরি (বিশ্ব র্যাঙ্কিং ৩১), বাংলার উঠতি প্রতিভা বিশ্ব যুব র্যাঙ্কিংয়ে চার নম্বরে থাকা অঙ্কুর ভট্টাচার্য, সেলিনা সেলভাকুমার (জাতীয় র্যাঙ্কিং ১৫), অনন্যা চন্দে (জাতীয় র্যাঙ্কিং ১৮), দীপিত পাটিলকে (জাতীয় র্যাঙ্কিং ২০)।
বাংলার অবদান শুধু একটা দলেই সীমাবদ্ধ নয়। গোটা প্রতিযোগিতা জুড়েই রয়েছে। এমন একটা প্রতিযোগিতা যেখানে ভারতীয় প্রতিভাদের তুলে আনাই উদ্দেশ্য, সেখানে পথ দেখাচ্ছে বাংলা। নতুন দলের অন্তর্ভুক্তিতে সেই প্রয়াস আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যায় কি না
সেটাই দেখার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)